"প্রতিমা মুখার্জিকে ঠকিয়ে মুখার্জি বাড়ির মেয়ে হয়েছি, আদিত্ত বাবুকে ভালাবাসার অভিনয় করে আমি রায় চৌধুরী বাড়ির বউ হয়েছি..."
এই কথাটি আমার না, এটা হচ্ছে ফুলকির কথা, যে কিনা একটু আগে ঝিলিককে বলল। ফুলকির মুখে এতবড় কথা আমাদের বাসার সবাই অবাক!! আমার বাবা অস্ফুট স্বরে বলে উঠলো, "ঝিলিকের মা আসে না কেন? "... ফুলকি একনাগাড়ে প্রমিত শুদ্ধ ভাষায় গালাগাল করে যাচ্ছে ঝিলিক কে... আমাদের বাসার সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে ঝিলিক আর ফুলকির দিকে! ওদের এসব কান্ডকারখানা দেখে আমার বাসার সবাই খুব চিন্তিত ... লিখতে লিখতে কাহিনী অনেকদূর এগিয়ে গেছে, ঝিলিক -ফুলকিদের বাসার সবাই ঘটনাস্থলে হাজির, ফুলকির মা (আসলে ঝিলিকের মা) আড়াল থেকে এসব কঠিন সত্য শুনে 'মা কালীর 'দিব্যি হারিয়ে পাগলপ্রায়, তাই এলোমেলো পায়ে রাস্তায় চলে গেল... রায় চৌধুরী বাড়ীর সবাই এই ক্যাচাল শুনে ঘটনাস্থলে হাজির, ঠাম্মা, জেডিমা, মাসী, পিশি সব একলগে হাজির ... ফুলকি বলছে "ঠাম্মা, বিশ্বাস কর সব দোষ ঝিলিকের, ওর কথা শুনে মা রাস্তায় চলে গিয়েছে "। আর ঝিলিক বলছে, "বিশ্বাস কর ঠাম্মা, আমি কি..কিছু ক..রি..নি "...... ঘটনা টান টান উত্তেজনার দিকে যাচ্ছে, বাসার সবার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে আছে... টিভি স্ক্রিনের দিকে...
মার কাছে কাহিনীর সারসংক্ষেপ জিজ্ঞাসা করতেই বিরতির ফাকে একগাদা যা বলল তার সারাংশ হচ্ছে, আজ রাতে নাকি ফুলকি ধরা খাবে সবার কাছে যে, ফুলকি ওদের আসল মেয়ে না হয়েও সম্পত্তি পাবার লোভে চাল চেলে যাচ্ছে। আজকের এপিসডের জন্য আমাদের বাসার সবাই দীর্ঘ ২ সপ্তাহ অপেক্ষা করেছে ... অপেক্ষা করেছে আমার বোন, অপেক্ষা করেছে বোনের ৬ বছর বয়েসী মেয়ে, অপেক্ষা করেছে আমার মা আর আমার রিটায়ার্ড বাবা এবং আমাদের বাসার কাজের মেয়ে।
জ্বী হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন, আমার উচ্চশিক্ষিত বাবাও 'মা ' সিরিয়ালের একজন বয়স্ক কাস্টমার। দিনের কিছুটা সময় হলেও তিনি মুখার্জি পরিবারের একজন সদস্য হয়ে যায়।যদি আমি ওদের সাথে আর কিছুদিন থাকি আমিও হয়তোবা দুদিন পর হয়ে যাবো। কারণ আমি ব্লগে ছিলাম, ওদের এতো আগ্রহ দেখে ব্লগ পড়া ছেড়ে 'ফুলকি -ঝিলিক ' নামা দেখা শুরু করেছিলাম, আর লিখছিলাম।
সিরিয়াল শেষ, সবাই যে যার স্টাইলে ফিরে গিয়েছে ... বাবা পড়ছে পেপার, বোন বাচ্চাকে খাওয়াচ্ছে, বোনের মেয়ে তার পুতুল 'তিতাস'কে জামা পড়াচ্ছে, আর আমি লিখছি ব্লগ। কিছুটা খারাপ লাগছে ... সবাই এতক্ষণ একসাথে ছিলাম, এখন সবাই যে যার কাজে ... আবার হয়তোবা ওরা সবাই একত্রিত হবে রাত সারে আট্টায়, কিন্তু আমি থাকবো না... চলে যাবো ঢাকায়, লম্বা ছুটি শেষ করে আগামীকাল।
এই কথাটি আমার না, এটা হচ্ছে ফুলকির কথা, যে কিনা একটু আগে ঝিলিককে বলল। ফুলকির মুখে এতবড় কথা আমাদের বাসার সবাই অবাক!! আমার বাবা অস্ফুট স্বরে বলে উঠলো, "ঝিলিকের মা আসে না কেন? "... ফুলকি একনাগাড়ে প্রমিত শুদ্ধ ভাষায় গালাগাল করে যাচ্ছে ঝিলিক কে... আমাদের বাসার সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে ঝিলিক আর ফুলকির দিকে! ওদের এসব কান্ডকারখানা দেখে আমার বাসার সবাই খুব চিন্তিত ... লিখতে লিখতে কাহিনী অনেকদূর এগিয়ে গেছে, ঝিলিক -ফুলকিদের বাসার সবাই ঘটনাস্থলে হাজির, ফুলকির মা (আসলে ঝিলিকের মা) আড়াল থেকে এসব কঠিন সত্য শুনে 'মা কালীর 'দিব্যি হারিয়ে পাগলপ্রায়, তাই এলোমেলো পায়ে রাস্তায় চলে গেল... রায় চৌধুরী বাড়ীর সবাই এই ক্যাচাল শুনে ঘটনাস্থলে হাজির, ঠাম্মা, জেডিমা, মাসী, পিশি সব একলগে হাজির ... ফুলকি বলছে "ঠাম্মা, বিশ্বাস কর সব দোষ ঝিলিকের, ওর কথা শুনে মা রাস্তায় চলে গিয়েছে "। আর ঝিলিক বলছে, "বিশ্বাস কর ঠাম্মা, আমি কি..কিছু ক..রি..নি "...... ঘটনা টান টান উত্তেজনার দিকে যাচ্ছে, বাসার সবার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে আছে... টিভি স্ক্রিনের দিকে...
মার কাছে কাহিনীর সারসংক্ষেপ জিজ্ঞাসা করতেই বিরতির ফাকে একগাদা যা বলল তার সারাংশ হচ্ছে, আজ রাতে নাকি ফুলকি ধরা খাবে সবার কাছে যে, ফুলকি ওদের আসল মেয়ে না হয়েও সম্পত্তি পাবার লোভে চাল চেলে যাচ্ছে। আজকের এপিসডের জন্য আমাদের বাসার সবাই দীর্ঘ ২ সপ্তাহ অপেক্ষা করেছে ... অপেক্ষা করেছে আমার বোন, অপেক্ষা করেছে বোনের ৬ বছর বয়েসী মেয়ে, অপেক্ষা করেছে আমার মা আর আমার রিটায়ার্ড বাবা এবং আমাদের বাসার কাজের মেয়ে।
জ্বী হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন, আমার উচ্চশিক্ষিত বাবাও 'মা ' সিরিয়ালের একজন বয়স্ক কাস্টমার। দিনের কিছুটা সময় হলেও তিনি মুখার্জি পরিবারের একজন সদস্য হয়ে যায়।যদি আমি ওদের সাথে আর কিছুদিন থাকি আমিও হয়তোবা দুদিন পর হয়ে যাবো। কারণ আমি ব্লগে ছিলাম, ওদের এতো আগ্রহ দেখে ব্লগ পড়া ছেড়ে 'ফুলকি -ঝিলিক ' নামা দেখা শুরু করেছিলাম, আর লিখছিলাম।
সিরিয়াল শেষ, সবাই যে যার স্টাইলে ফিরে গিয়েছে ... বাবা পড়ছে পেপার, বোন বাচ্চাকে খাওয়াচ্ছে, বোনের মেয়ে তার পুতুল 'তিতাস'কে জামা পড়াচ্ছে, আর আমি লিখছি ব্লগ। কিছুটা খারাপ লাগছে ... সবাই এতক্ষণ একসাথে ছিলাম, এখন সবাই যে যার কাজে ... আবার হয়তোবা ওরা সবাই একত্রিত হবে রাত সারে আট্টায়, কিন্তু আমি থাকবো না... চলে যাবো ঢাকায়, লম্বা ছুটি শেষ করে আগামীকাল।