Tuesday, February 12, 2013

শিবিরের কর্মীদের মস্তকে যে বুদ্ধি রইয়াছে, তাহা আমি আগেই জানিতাম... তবে আজ স্বচক্ষে দেখিলাম।

শিবিরের কর্মীদের মস্তকে যে বুদ্ধি রইয়াছে, তাহা আমি আগেই জানিতাম... তবে আজ স্বচক্ষে দেখিলাম।

আমি খোশ মেজাজে আফিসে বসিয়া লাড্ডূ খাইতেছিলাম। আমার আফিস আবার কাওরানবাজার। বসুন্ধারা সিটির পাশেই, BDBL ভবনে। শাহবাগও এইখান হইতে খুব বেশী দূরে নয়। ২০ তলা ভবন বলিয়াই হয়তো জানালা দিয়া উকি মারা মাত্রই শাহবাগ দেখা যায়। শাহবাগ দেখিলেও শাহবাগের সাম্প্রতিক উত্তাপ এখন পর্যন্ত দেখিবার সুযোগ হইয়া উঠে নাই। বিডিজবসের হালকা কাজের চাপে আমার বর্তমান অবস্থা নাস্তানুবাদই বলা চলে। তবে আজ সকাল হইতেই আফিসে আজ আমার কাজের চাপ নাই বলিলেই মনে হয় উত্তম বলা হইবে। বেলা ১০ টা নাগাদ হইতেই লেপটপ খুলিয়া আজাইড়া কাজ করিয়া বেড়াইতেছি। বেলা ১১ টার দিকে আফিস হইতে ২ পিস লাড্ডু পেলুম। লাড্ডূ বলিতে আমি লাড্ডূ-ই বুঝাইতেছি, শূন্য নহে। বিডিজবস আবার আমাদের সারাদিনে ব্যাপক কিছুই খাওয়াইয়া থাকে, চা, নাস্তা, লাঞ্চ...চা...বিস্কিট... আরো কত কি...

আজ একটু আগে (১১টা নাগাদ) খাওয়াইয়া ছিল ২ পিস 'লাড্ডূ'। আমি লাড্ডূতে কামড় দেওয়া মাত্রই আবিস্কার করিলাম হই হই রই রই আওয়াজ। খাইবার কালে এই রকম আওয়াজ আমি এর আগে কখনোই শুনি নাই। জানালা গলিয়া উকি দেওয়া মাত্রই দেখিলাম 'শিবিরের' একটি শান্ত মিছিল ব্যানার হস্তে লইয়া কাওরানবাজার মোড় অতিক্রম করিতেছে। কাওরানবাজার মোড়ে টহ্লরত পুলিশ ও একটি সম্যক কাজ দেখিয়া মিছিলটার পিছু একটা দৌড়ানি দিল। মিছিলের সহিত পুলিশও দৌড়ে আমার চক্ষুর অন্তরালে মিলিয়া গেল।

এর পরপরই দেখিলাম 'শিবিরের' কেরামতি। আরেকদল আসিয়া পড়িল কাওরানবাজার মোড়ে, হস্তে তাহাদের দেশীয় অস্ত্র। বুঝিলাম আগের ব্যানার মিছিল ছিল নিছক পুলিশ কে ফুলিশ ফানানোর ফন্দি। ততক্ষণে মোড়ে আর কোনো পুলিশের টহ্ল দেওয়ার বাহিনী ছিল না সেইখানে। অতঃপর ভাংচুর কাহাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি তাহা স্বচক্ষে দেখিবার সুযোগ হইলো।।

আমি আজি ধন্য।।

0 comments: