Monday, September 10, 2012

মুখার্জি পরিবার ও আমাদের পরিবারের ঐক্যবদ্ধতা

"প্রতিমা মুখার্জিকে ঠকিয়ে মুখার্জি বাড়ির মেয়ে হয়েছি, আদিত্ত বাবুকে ভালাবাসার অভিনয় করে আমি রায় চৌধুরী বাড়ির বউ হয়েছি..."

এই কথাটি আমার না, এটা হচ্ছে ফুলকির কথা, যে কিনা একটু আগে ঝিলিককে বলল। ফুলকির মুখে এতবড় কথা আমাদের বাসার সবাই অবাক!! আমার বাবা অস্ফুট স্বরে বলে উঠলো, "ঝিলিকের মা আসে না কেন? "... ফুলকি একনাগাড়ে প্রমিত শুদ্ধ ভাষায় গালাগাল করে যাচ্ছে ঝিলিক কে... আমাদের বাসার সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে ঝিলিক আর ফুলকির দিকে! ওদের এসব কান্ডকারখানা দেখে আমার বাসার সবাই খুব চিন্তিত ... লিখতে লিখতে কাহিনী অনেকদূর এগিয়ে গেছে, ঝিলিক -ফুলকিদের বাসার সবাই ঘটনাস্থলে হাজির, ফুলকির মা (আসলে ঝিলিকের মা) আড়াল থেকে এসব কঠিন সত্য শুনে 'মা কালীর 'দিব্যি হারিয়ে পাগলপ্রায়, তাই এলোমেলো পায়ে রাস্তায় চলে গেল... রায় চৌধুরী বাড়ীর সবাই এই ক্যাচাল শুনে ঘটনাস্থলে হাজির, ঠাম্মা, জেডিমা, মাসী, পিশি সব একলগে হাজির ... ফুলকি বলছে "ঠাম্মা, বিশ্বাস কর সব দোষ ঝিলিকের, ওর কথা শুনে মা রাস্তায় চলে গিয়েছে "। আর ঝিলিক বলছে, "বিশ্বাস কর ঠাম্মা, আমি কি..কিছু ক..রি..নি "...... ঘটনা টান টান উত্তেজনার দিকে যাচ্ছে, বাসার সবার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে আছে... টিভি স্ক্রিনের দিকে...

মার কাছে কাহিনীর সারসংক্ষেপ জিজ্ঞাসা করতেই বিরতির ফাকে একগাদা যা বলল তার সারাংশ হচ্ছে, আজ রাতে নাকি ফুলকি ধরা খাবে সবার কাছে যে, ফুলকি ওদের আসল মেয়ে না হয়েও সম্পত্তি পাবার লোভে চাল চেলে যাচ্ছে। আজকের এপিসডের জন্য আমাদের বাসার সবাই দীর্ঘ ২ সপ্তাহ অপেক্ষা করেছে ... অপেক্ষা করেছে আমার বোন, অপেক্ষা করেছে বোনের ৬ বছর বয়েসী মেয়ে, অপেক্ষা করেছে আমার মা আর আমার রিটায়ার্ড বাবা এবং আমাদের বাসার কাজের মেয়ে।

জ্বী হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন, আমার উচ্চশিক্ষিত বাবাও 'মা ' সিরিয়ালের একজন বয়স্ক কাস্টমার। দিনের কিছুটা সময় হলেও তিনি মুখার্জি পরিবারের একজন সদস্য হয়ে যায়।যদি আমি ওদের সাথে আর কিছুদিন থাকি আমিও হয়তোবা দুদিন পর হয়ে যাবো। কারণ আমি ব্লগে ছিলাম, ওদের এতো আগ্রহ দেখে ব্লগ পড়া ছেড়ে 'ফুলকি -ঝিলিক ' নামা দেখা শুরু করেছিলাম, আর লিখছিলাম।

সিরিয়াল শেষ, সবাই যে যার স্টাইলে ফিরে গিয়েছে ... বাবা পড়ছে পেপার, বোন বাচ্চাকে খাওয়াচ্ছে, বোনের মেয়ে তার পুতুল 'তিতাস'কে জামা পড়াচ্ছে, আর আমি লিখছি ব্লগ। কিছুটা খারাপ লাগছে ... সবাই এতক্ষণ একসাথে ছিলাম, এখন সবাই যে যার কাজে ... আবার হয়তোবা ওরা সবাই একত্রিত হবে রাত সারে আট্টায়, কিন্তু আমি থাকবো না... চলে যাবো ঢাকায়, লম্বা ছুটি শেষ করে আগামীকাল।

Friday, August 17, 2012

শুভ জন্মদিন

ভালো থেকো- হুমায়ুন আজাদ

ভালো থেকো ফুল, মিষ্টি বকুল, ভালো থেকো।
ভালো থেকো ধান, ভাটিয়ালি গান, ভালো থেকো।
ভালো থেকো মেঘ, মিটিমিটি তারা।
ভালো থেকো পাখি, সবুজ পাতারা।
ভালো থেকো।
ভালো থেকো চর, ছোট কুড়ে ঘর, ভালো থেকো।
ভালো থেকো চিল, আকাশের নীল, ভালো থেকো।
ভালো থেকো পাতা, নিশির শিশির।
ভালো থেকো জল, নদীটির তীর।
ভালো থেকো গাছ, পুকুরের মাছ, ভালো থেকো।
ভালো থেকো কাক, কুহুকের ডাক, ভালো থেকো।
ভালো থেকো মাঠ, রাখালের বাশিঁ।
ভালো থেকো লাউ, কুমড়োর হাসি।
ভালো থেকো আম, ছায়া ঢাকা গ্রাম, ভালো থেকো।
ভালো থেকো ঘাস, ভোরের বাতাস, ভালো থেকো।
ভালো থেকো রোদ, মাঘের কোকিল,
ভালো থেকো বক, আড়িয়ল বিল,
ভালো থেকো নাও, মধুমতি গাও,ভালো থেকো।
ভালো থেকো মেলা, লাল ছেলেবেলা, ভালো থেকো।
ভালো থেকো, ভালো থেকো, ভালো থেকো।
........................................
........................................

আজ আমার খুব কাছের একজন মানুষের জন্মদিন। যে মানষটি আজ পর্যন্ত জানে না তার জন্মদাতা পিতা বা তার জন্মদাত্রী মাতা কে... হয়তোবা আজ পর্যন্ত তা জানার প্রয়োজনবোধ ও করে নাই। তবুও আমি জানি সে এখনো মাঝে মাঝে বালিসে মুখ গুঁজে কাঁদে ... একা একা...
তারপরও আমি প্রায়শই এই কাছের মানুষটাকে গালিগালাজ করি... অকথ্য ভাষায় ...বাবা মা তুলে... কারণে অকারণে ... ছোট খাটো ভুল হলে। সে মন খারাপ করে, তবুও চুপ করে থাকে... হয়তোবা ভয় পায়... ভয় পায় আরো বেশী গালিগালাজকে। তবুও সে আমায় তার সবকিছুই উজার করে দিচ্ছে, কাছে পাবার জন্য ...এমনকি নিজের ধর্মটাকেও....

আমি তোমাকে কিছুই দিতে পারলাম না। তবুও তুমি আমার কাছের মানুষ। আমার নিঃসঙ্গ জীবনের একমাত্র সম্বল....

Wednesday, August 15, 2012

The unborn dictator

আজ ১৫ অগাষ্ট,বছরের ২২৮ তম দিন। তার মানে হাতে আছে আরো ১৩৮ দিন,তারপর আমাদের ক্যালেন্ডার থেকে চলে যাবে আরেকটি বছর, তারপর আবারও যাবে আরেকটি দিন, আরেকটি মাস ও আরো একটি বছর ..

দিন শেষ হতে আর বাকি মাত্র কিছুক্ষণ। অনেকের কাছেই আজ ছিলো একটি বিশেষ দিন। কোন দেশের মানুষ আজ স্বাধীনতা ছুটির স্বাদ যথাযথ পেয়ে হয়তোবা ক্লান্ত দেহে ঝিমুচ্ছে, বাংলাদেশের কেউ হয়তোবা জন্মবার্ষিকী উদযাপনের কেক খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছে, আর কেউ হয়তোবা স্বজন হারানোর বেদনায় কাতর হয়ে দিনটি শেষ হবার অপেক্ষায় আছে। এই দিনে ১৯১৪ সালে আমেরিকান আর্কিটেকচার ফ্রেঙ্ক লয়েড রাইটের চাকর ৭ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করে। এই ঘটনা স্মরণ করে আমেরিকানরা আজও শোকাবিভূত হয় তবে আমরা হই না যদিও কিনা আমাদের আজ জাতীয় শোক দিবস ছিল। বাংলাদেশের স্থপতি বংগবন্ধুকে বলা হলেও এ কথা শুনে আজ আমরা অনেকেই হাসি কেউ কেউ কটুক্তিও করি। আমার এক বড় ভাই একবার হাসতে হাসতে বলেছিল, শেখ মুজিবের দাদা নাকি মুচি ছিলেন। যা রটে তা কিছু হলেও বটে। হয়তোবা ওনার কথাটি সত্য হয়তোবা উনার কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে উনি আজ অনেকেরই অপছন্দের চরিত্র জাতির জনক হিসেবে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে বাকশাল কায়েম, "এক নেতা এক দেশ, বংগবন্ধু বাংলাদেশ "।যা হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৫ এর মধ্যকার অনেক সমস্যা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মূল ভিত্তি বলে বিবেচিত। তাই ১৫ই আগষ্টের প্রয়োজনীয়তা অনেকের কাছেই গ্রহণযোগ্য। ১২ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ৭ জনই ছিল মুক্তিযোদ্ধা, একজন ছিল সর্বোচ্চ খেতাব প্রাপ্ত। তার মানে কি এই যে তাদের সিদ্ধান্ত ছিল সঠিক এবং জনগণের অনূকুলে?

পৃথিবীর অনেকদেশই একনায়কতন্ত্র কায়েমের মাধ্যমে জাতিগতভাবে সফলতা লাভ করার অজস্র উদাহরণ আছে। এসব দেশের ইতিহাস ঘাটলে দেখবেন, ক্ষমতা গ্রহণের পর কিছুকালের জন্য দেশ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়েছে এমনকি কোন কোন দেশে তীব্র ভাবে অর্থনৈতিক বিপর্যস্ত হয়েছে কিন্তু ঠিকই একটা সময়ে নিজপায়ে মাথা তুলে দাড়িয়েছে। সর্বশেষ জলন্ত উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি লিবিয়ার কথা, যদিও তা সেনাবাহিনীর দ্বারা শাসিত তবুও একনায়কত্রানতিক যে ছিলো তা আমাদের সবারই জানা। এবং এটাও জানা যে লিবিয়ার পরবর্তী অর্থনীতি কোন পর্যায়ে গিয়েছিল। আমি বলছি না যে, বাকশাল কায়েম হলে আমাদের দেশ ও লিবিয়ার মতো শক্তিশালী হয়ে যেত বরং বলতে চাচ্ছি যে হলেও হতে পারত। অন্তত চোরের সংখ্যা গুটিকয়েকে সীমাবদ্ধ থাকত। আমাদের একটি অংশ তা হতে দেইনি, আপনার আমার ভাষ্যমতে একদল মুক্তিযোদ্ধারা। আর মুক্তিযোদ্ধারা কি কখনো ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারে?

আজ আমরা গণতান্ত্রিক দেশে পেয়েছি।গত ২২ টি বছর ধরে সংসদীয় গণতন্ত্র উপভোগ করছি। আরও সাথে এখন উপভোগ করছি কার্যদিবসে সংসদের অভন্তরীন পরিবেশ। মুখ খুলে যা ইচ্ছে বলতে পারছি, রাজনীতি যে আমাদেরকে রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে তা আমরা তাতস্বরে চেঁচিয়ে বলতে পারছি। যদিও আমি জানি এই স্বরধ্বনি তুরাগ বাস বড়জোর ইন্টারনেট নামক জালেই এখন পর্যন্ত আটকিয়ে আছে, রাজপথ পর্যন্ত যেতে পারছে না। যেতে পারছে না কারণ মনে হয় আমরা পেটপুরে খেতে পারছি না তাই। পেটেই যাচ্ছে না কিছু রাজপথে আওয়াজ কিভাবে যাবে বলেন? ডিমের হালি যেখানে ৪০ টাকা, গলায় আওয়াজ না থাকাটাই স্বাভাবিক। তাই আমি অন্তত ঐ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি না যা ২৫ বছরেও জনগণের মৌলিক চাহিদা মিটাতে পারে না।

Saturday, July 14, 2012

আওয়াজ

গতবছর রোজার ঈদের কিছুদিন পর প্রথমআলোর কোড়পত্র ছুটির দিনে একটি নিবন্ধন ছাপা হয়েছিল, আমার আপনার বয়সের একদল ছেলেমেয়ে কোন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক সহোযোগীতা ছাড়াই নিজেদের জমানো সামান্য অর্থ দিয়ে একটি বৃহৎ উদ্যোগ নিয়েছিল।  প্রত্যেকেই নিজেদের ঈদ উপলক্ষে পোশাক কেনার জন্য বরাদ্দ টাকা জমিয়ে কিছুসংখ্যক পথশিশুদের একটি অন্যরকম ঈদ আনন্দ দেওয়ার প্রয়াস নিয়ে একত্রিত হয়েছিল। আমার যতটুকু মনে পরে, ওরা বেছেনিয়েছিল কমলাপুর রেলস্টেশনে বেড়ে উঠা পথশিশুদের।  কাপড় থেকে শুরু করে সেমাই, পায়েস,  পোলাও ... মোটামুটি সবকিছুরই আয়োজন করেছিল তারা।  পথশিশুদের সংখ্যা ছিল ৩০ থেকে ৫০ জন আর উদ্যোগতারা ছিল "আমার আপনার" বয়সের হাতেগোনা কয়েকজন ...
এই নিবন্ধটির যেদিন প্রকাশিত হয়েছিল সেদিন সকালে আমার খুব কাছের একজন ফোন করে বলেছিল 'ছুটির দিনটি ' দেখে তাকে যেন আবার ফোন করি।  যথারীতি নিবন্ধনটি পড়ার পর তাকে কল করলাম। অপরপ্রান্ত থেকে কোন সাড়াশব্দ পেলাম না,বুঝলাম মেয়েটি নিরবে কাঁদছে।  আমি আর কিছু বললাম না তবে মনে মনে ভাবলাম কাঁদুক, এই কান্না বেশীক্ষণ স্থায়ী হবে না।  বড়োজোর ২৪ মিনিট আর যেই নিবন্ধটা পড়ে তার মন এখন বিষণ্ণ, সেই বিষয়টিই তার মাথায় থাকবে বড়জোর ২৪ ঘন্টা।
এই ঘটনার একমাস পর কথা প্রসঙ্গে সে আমাকে বলল সে আর তার বন্ধুরা মিলে একটি গ্রুপ করেছে।  আমি বললাম গ্রুপের নাম কি "বুক্কু কোং এন্ড গোং" ? সে আমার ফাইজলামির গা না ঘেঁষে বলল, সে আর তার বন্ধুরা মিলে ঠিক করেছে আসছে কোরবাণী ঈদে তারা কুমিল্লা রেলস্টেশনের ১০-১২ জন পথশিশুদের জন্য কিছু করবে। আমার তখন ছুটির দিনের নিবন্ধটির কথা মনে পড়ল, তাই সবিনয়ে নিজ উদ্যোগেই বললাম দেখি কোনভাবে সাহায্য করতে পারি কিনা। সেদিন তাকে অন্যান্য দিনের চাইতে অনেক বেশী আনন্দিত মনে হচ্ছিল।  ভাবলাম মেয়েরা কত অল্পতেই না খুশী হয়ে যায়।
সুনীলের 'কেউ কথা রাখেনি ' কবিতাটা সে পড়েছিল কিনা জানি না, তবে এটা জানি যে আমি কিন্তু কথা রাখিনি তার অন্যান্য গ্রুপ মেম্বারদের মত। পরে শুনেছিলাম কুমিল্লার পথশিশুরাও নাকি তার কথা রাখেনি!!!  সে সেমাই,  খিচুড়ি, কিছু পোশাক আর তার এক বন্ধুকে নিয়ে ঠিকই গিয়েছিল কুমিল্লা রেল স্টেশনে,  কিন্তু কোরবানী ঈদ হওয়ায় দেওয়ার মত তিন চার জন ছাড়া আর কাউকেই পায় নাই সে। ও হয়তো সেদিন বুঝতে পারে নাই যে তার আনা খাবার থেকেও ভালো ভালো খাবার তারা মানুষের দরজায় গিয়ে পাবে.... সে সত্যিই বুজতে পারে নাই, কারণ সে হিন্দু ছিল....
অন্যদের কথা জানি না তবে আমি যদি ওর জায়গায় থাকতাম তবে এ র্পযন্ত এসেই থেমে যেতাম, আর ভাবতাম যা করেছি মেলা করেছি "ফকিরনির পোলাদের জন্য আর কত? " তবে আশ্চর্যের কথা হচ্ছে মেয়েটা কিন্তু ওখানেই থেমে থাকেনি। গত মাসে জানতে পারলাম, সে তার গ্রুপ মেম্বারদেরকে (নতুন) নিয়ে গ্রামের একটি স্কুলের ৫ শ্রেণীর সকল ছাত্র -ছাত্রীদের (প্রায় ৫০ এর অধিক) একটি করে খাতা, পেন্সিল, কলম, পেন্সিল বক্স দেয়ার আয়োজন করেছিল।  সাথে প্রত্যেক কেই একটি করে কলিজা সিঙ্গারা,সমুচা আর একটি করে মজো দেওয়া হয়েছিল।
রাতে ফোনে যখন সে সেই ছেলেমেয়েদের তখনকার অনূভুতির কথা আমাকে বলছিল তখনো সে কাঁদছিল। তবে এ কান্না আগেরবারের মত নিঃশব্দে নয় বরং স্বশব্দে ... যেটা কিনা আমার শোনা সবথেকে পবিত্রতম কান্না, যার আওয়াজ হয়তোবা কখনোই আমাদের মনের দরজায় কড়া নাড়বে না....।