Wednesday, August 15, 2012

The unborn dictator

আজ ১৫ অগাষ্ট,বছরের ২২৮ তম দিন। তার মানে হাতে আছে আরো ১৩৮ দিন,তারপর আমাদের ক্যালেন্ডার থেকে চলে যাবে আরেকটি বছর, তারপর আবারও যাবে আরেকটি দিন, আরেকটি মাস ও আরো একটি বছর ..

দিন শেষ হতে আর বাকি মাত্র কিছুক্ষণ। অনেকের কাছেই আজ ছিলো একটি বিশেষ দিন। কোন দেশের মানুষ আজ স্বাধীনতা ছুটির স্বাদ যথাযথ পেয়ে হয়তোবা ক্লান্ত দেহে ঝিমুচ্ছে, বাংলাদেশের কেউ হয়তোবা জন্মবার্ষিকী উদযাপনের কেক খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছে, আর কেউ হয়তোবা স্বজন হারানোর বেদনায় কাতর হয়ে দিনটি শেষ হবার অপেক্ষায় আছে। এই দিনে ১৯১৪ সালে আমেরিকান আর্কিটেকচার ফ্রেঙ্ক লয়েড রাইটের চাকর ৭ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করে। এই ঘটনা স্মরণ করে আমেরিকানরা আজও শোকাবিভূত হয় তবে আমরা হই না যদিও কিনা আমাদের আজ জাতীয় শোক দিবস ছিল। বাংলাদেশের স্থপতি বংগবন্ধুকে বলা হলেও এ কথা শুনে আজ আমরা অনেকেই হাসি কেউ কেউ কটুক্তিও করি। আমার এক বড় ভাই একবার হাসতে হাসতে বলেছিল, শেখ মুজিবের দাদা নাকি মুচি ছিলেন। যা রটে তা কিছু হলেও বটে। হয়তোবা ওনার কথাটি সত্য হয়তোবা উনার কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে উনি আজ অনেকেরই অপছন্দের চরিত্র জাতির জনক হিসেবে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে বাকশাল কায়েম, "এক নেতা এক দেশ, বংগবন্ধু বাংলাদেশ "।যা হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৫ এর মধ্যকার অনেক সমস্যা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মূল ভিত্তি বলে বিবেচিত। তাই ১৫ই আগষ্টের প্রয়োজনীয়তা অনেকের কাছেই গ্রহণযোগ্য। ১২ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ৭ জনই ছিল মুক্তিযোদ্ধা, একজন ছিল সর্বোচ্চ খেতাব প্রাপ্ত। তার মানে কি এই যে তাদের সিদ্ধান্ত ছিল সঠিক এবং জনগণের অনূকুলে?

পৃথিবীর অনেকদেশই একনায়কতন্ত্র কায়েমের মাধ্যমে জাতিগতভাবে সফলতা লাভ করার অজস্র উদাহরণ আছে। এসব দেশের ইতিহাস ঘাটলে দেখবেন, ক্ষমতা গ্রহণের পর কিছুকালের জন্য দেশ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়েছে এমনকি কোন কোন দেশে তীব্র ভাবে অর্থনৈতিক বিপর্যস্ত হয়েছে কিন্তু ঠিকই একটা সময়ে নিজপায়ে মাথা তুলে দাড়িয়েছে। সর্বশেষ জলন্ত উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি লিবিয়ার কথা, যদিও তা সেনাবাহিনীর দ্বারা শাসিত তবুও একনায়কত্রানতিক যে ছিলো তা আমাদের সবারই জানা। এবং এটাও জানা যে লিবিয়ার পরবর্তী অর্থনীতি কোন পর্যায়ে গিয়েছিল। আমি বলছি না যে, বাকশাল কায়েম হলে আমাদের দেশ ও লিবিয়ার মতো শক্তিশালী হয়ে যেত বরং বলতে চাচ্ছি যে হলেও হতে পারত। অন্তত চোরের সংখ্যা গুটিকয়েকে সীমাবদ্ধ থাকত। আমাদের একটি অংশ তা হতে দেইনি, আপনার আমার ভাষ্যমতে একদল মুক্তিযোদ্ধারা। আর মুক্তিযোদ্ধারা কি কখনো ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারে?

আজ আমরা গণতান্ত্রিক দেশে পেয়েছি।গত ২২ টি বছর ধরে সংসদীয় গণতন্ত্র উপভোগ করছি। আরও সাথে এখন উপভোগ করছি কার্যদিবসে সংসদের অভন্তরীন পরিবেশ। মুখ খুলে যা ইচ্ছে বলতে পারছি, রাজনীতি যে আমাদেরকে রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে তা আমরা তাতস্বরে চেঁচিয়ে বলতে পারছি। যদিও আমি জানি এই স্বরধ্বনি তুরাগ বাস বড়জোর ইন্টারনেট নামক জালেই এখন পর্যন্ত আটকিয়ে আছে, রাজপথ পর্যন্ত যেতে পারছে না। যেতে পারছে না কারণ মনে হয় আমরা পেটপুরে খেতে পারছি না তাই। পেটেই যাচ্ছে না কিছু রাজপথে আওয়াজ কিভাবে যাবে বলেন? ডিমের হালি যেখানে ৪০ টাকা, গলায় আওয়াজ না থাকাটাই স্বাভাবিক। তাই আমি অন্তত ঐ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি না যা ২৫ বছরেও জনগণের মৌলিক চাহিদা মিটাতে পারে না।

0 comments: