Thursday, April 18, 2013

সাপ্তাহিক কচড়া (জগা-খিচুড়ী)




বৃহস্পতিবার, ১১ই এপ্রিল ২০১৩

গত সপ্তাহের শেষ দিন ছিল আমার জীবণের অন্যতম একটি সেরা দিনসেদিন আমি পেয়েছিলাম আমার গুরু, মামা, এমিনেমের ২৯৮ টি গানের সম্পূর্ণ কালেকশন। ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা ভাঙ্গাচোরা আধা ছাধা গান বা ৫০ টাকা দিয়া কিনা ডিভিডি ভার্সান না, একেবারে অরিজিনাল সাউন্ডট্রেক ... নতুন অনেক কিছু আবিষ্কার করলাম সেদিন। যেমন প্রতিটি এলভ্যামের শুরুতে এবং শেষে এমিনেমের ৩০-৬০ সেকেন্ডের কিছু ইন্ট্রডাকটোরি ক্লিপ রয়েছে, যেখানে সে আর তার গ্রুপের সদস্যরা এলভ্যাম সম্পর্কে কিছু কথা বলে থাকে। যা একথায় অসাধারণ। তার when the music stops, Evil deeds, Music box, No apologies, Business গানগুলাই সপ্তাহ জুড়ে শুনেছি। বাকিগুলো এখনো শোনাই হয় নাই। তাই জানি না ওগুলা না জানি আরো কত ভালো হবে !!!
...................................................................................................
শুক্রবার, ১২ই এপ্রিল ২০১৩


তন্দ্রার পোট্রেট আকা শুরু করেছিলাম গত সপ্তাহে সোম কি বুধবারে, আর তার কাজ ৯০ ভাগ শেষ করেছি শুক্রবারে। এখন শুধু তার চোখগুলো আঁকা বাকিপোট্রেট এর কনসেপ্ট সম্পূর্ণ কল্পনা থেকে করা। পোট্ট্রেটে সে ফুলের ঝুড়ি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে হাস্যজ্জল মুখে। চুলগুলো এলোমেলো... একেবারেই আইনেস্টাইনের মতো... তবে চোখগুলো আঁকতে পারছি না আমি... যতবারই আঁকতে যাই বার বার আমার চোখ দুটোই ভিজে যায় অজানা এক কারণে। তাই চোখ দুটো আঁকার কাজ এখন আপাতত রেখে দিয়েছি ভবিষৎ এর জন্য। যেদিন আমার চোখের এই ব্যারাম ভালো হবে সেদিন বাকি ১০ ভাগ কাজ শেষ করবো।
...................................................................................................
শনিবার, ১৩ই এপ্রিল ২০১৩

সপ্তাহের প্রথম দিনটি শুরু হয়েছিল খারাপ লাগার মতো একটা অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে, অফিসে বসে কাজ করছিলাম... হঠাৎ করে কোনো একটা সোর্স থেকে তন্দ্রার বিয়ের একটা ছবি দেখে চমকে উঠলাম। দেখার পর আমি আর সেদিন অফিস করতে পারিনি। মাথাটা একদম শূন্য হয়ে গিয়েছিল কয়েক ঘন্টার জন্য। ঠিকভাবে রাস্তা দিয়ে হাটতে পারছিলাম না। কিভাবে যে আমি বাসায় এসেছিলাম সেদিন তা ও হয়তো আমি ঠিকভাবে বলতে পারবো না। আমি ঠিক তখনই বুঝেছিলাম, আমি হেরে গিয়েছে আমাদের সমাজ ব্যবস্থার কাছে। সেই সমাজ ব্যবস্থার কাছে, যেখানে একজন মানুষের রক্ত আরকেজনের মতো হলেও তারা একে অপরের থেকে আলাদা। আলাদা জাতি, আলাদা গোষ্ঠির এক একটি প্রতিনিধি। নিজেকে সেদিন খুব নগন্য মনে হচ্ছিল, ঠিক যেন দুই টাকার ময়লা নোটের মতো... যার দাম আমাদের কাছে থেকেও নেই।
.............................................................................................................................
ভাই থামেন
http://www.somewhereinblog.net/blog/orijit/29818487


কিছু কিছু কথা মুখে বলতে হয় না, দেখায়া দিতে হয়। যাদের মাথায় গোবর আছে তাঁরা ঐ জিনিস দেখার পর না বুঝলেও যাদের মাথায় সামান্য পরিমাণ গরুর মুত আছে, তাঁরা হয়তো কিছুটা বুঝবে। আমার আজকের অ আ তাদের জন্যই। আরো বিশেষ ভাবে বলতে গেলে আমার পরিচিতজনদের জন্য। আমি জানি আমার বেশীরভার পরিচিতজনেরা আমাকে খুব একটা ভালো চোখে দেখে না। কারণ আমার মুখ অনেক পাতলা, বিশেষ করে কখন কোথায় কি বলা উচিত আর কি বলা উচিত না, তারা তা নিয়ে সব সময়ই একটা আতঙ্কের ভিতরে থাকে। তাই আমি তাদের আতংকিত না করার জন্য তাদের কোনো কিছুতেই হস্তক্ষেপ করি না অনেকদিন ধরেই। কি দরকার শুধু শুধু আগ বাড়িয়ে বলতে যাওয়ার !! তাই আমিও আমার মতো থাকি, আর তারাও তাদের মতো থাকে।

আমার খারাপ লাগে না, যখন দেখি মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্ররা আন্দোলন করছে ধর্মের দোহায় দিয়ে। আমার খারাপ লাগে না, যখন দেখি কোনো বয়ষ্ক ব্যাক্তি ইন্টারনেট নামক জিনিসটাকে নিয়ে না জেনে শুনে খারাপ খারাপ মন্তব্য করছে। আমার খারাপ লাগে না, যখন দেখি চোখ বন্ধ করে মানুষরা দলে দলে যোগ দিচ্ছে নাস্তিকদের ফাঁসির দাবিতে। খারাপ লাগে না, কারণ তারা জানে না নেট কি, ব্লগ কি, ব্লগার কি, তারা এসব জানার সুযোগও কখনো পাইনি। তাই তাদের কোনো কিছুতে আমার খারাপ লাগে না। বরং করুণা হয় এই ভেবে যে, তাঁরা কতটা সহজ সরল যে ধর্মের নাম ভাঙ্গিয়ে তাদেরকে যে কেউ ব্যবহার করতে পারবে। এসব ভেবে আমি তখন আর মন খারাপ করি না।

খারাপ লাগে তখন, যখন দেখি আমার পরিচিত শিক্ষিত মানুষরা সপ্তাহে এক বেলা, বা ৩-৪ সপ্তাহে একবেলা নামাজ কায়েম করে নাস্তিক, আস্তিক, ধর্মের অবমাননা নিয়ে বয়ান ছাড়ে। খারাপ লাগে তখন, যখন দেখি I-phone, yo-yo, টাইপের পার্টি সার্টি টাইপের পরিচিতরা নাস্তিকদের (ওঁদের ভাষ্যমতে) লিষ্ট করা ছবিতে ফাঁসীর দাবিতে ফেইসবুকে ছবি পোষ্ট করে। তখন তাদের বলতে ইচ্ছে করে এতো বছরের এই শিক্ষাই কি পেয়েছে তাঁরা তাদের পরিবারের কাছ থেকে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে, এবং তাদের ধর্মের কাছ থেকে, যে না জেনে শুনে নাস্তিক বলার শাস্তি কি হতে পারে হাশরের ময়দানে তা তাদের জানা নেই !! আজ অত্যাধুনিক ফ্যাশ্যান সচেতন খালেদা জিয়াও ঢালাওভাবে নাস্তিক বলছে আর খাদ্য, বিস্কুট প্রেরণ করছে আন্দোলন কারীদের। তা অবশ্যই প্রসংশনীয়। কিন্তু যাদেরকে প্রেরণ করেছে, তাদের তো একটি দাবী হচ্ছে নারীর অধীনে তাঁরা কোন শাসন মানবে না। তাহলে না মানলে নারী নেতৃতের পরিচালিত দলের কাছ থেকে সাহায্য নেওয়ার পিছনে লজিকটা কোথায় !! আজ এরশাদ চাঁচা পল্টি মেরে খাওয়ার পানি সাপ্লাই দিচ্ছে, দুইদিন আগে দিয়েছিল শাহবাগীদের। কি উদ্দ্যেশ্য তা কি দেশের মানুষ কি কিছুই বুঝে না, তাঁরা কি এতোই বোকা !! আমার তা মনে হয় না।

আমার ধর্ম নিয়ে কখনোই চুলকানি ছিলো না। আমার 'মালাউন' বিরোধী পরিচিতরা (বলতে গেলে সবাই... আমার মা-বাবা থেকে একেবারে কাছের বন্ধুরা পর্যন্ত) যখন অন্য ধর্মের রীতি নীতি নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা, হাসা-হাসি করতো তখন আমি চুপ করে থাকতাম। তাঁরা ভাবতো হয়তো আমার সর্ম্পক অন্য একটা ধর্মাবলম্বীর সাথে ছিল বোধহয় আমি কিছু বলি নাই। আমি তাদেরকে বলতে চাই আমার সর্ম্পক গত বছরই ভেঙ্গে গেছে। ছয় বছর আঠার মতো লেগে থাকার পর সে এখন তার নিজ ধর্মের একজনের সাথে বিয়ে করে ভালো আছে। আমি কি চাইলে পারি না তাকে এবং তার ধর্মের নামে সব জায়গায় সমলোচনা করতে ? আমার কি ভিতরে ভিতরে এগুলো চলে না ? চলে ঠিকই, কিন্তু আমি কখনো আংগুল তুলে কারো বিশ্বাসের উপর অযাযিত চর্চা করতে চাই না। আবার যখন ব্লগে দেখতাম ইসলাম কে নিয়ে সমলোচনা করা হচ্ছে, সেখানেও আমি চুপ থাকতাম। কখনোই আগ বাড়িয়ে ক্যাচাল করতে যাইনি আমি। কারণ এত বড় বড় বিষয় আমি আমার ১৩০০ গ্রামের মাথা দিয়ে যাচাই করে উল্টা পাল্টা বক্তব্য দেওয়াটা কে আমি বুদ্ধিমানের কাজ মনে করিনা। বরং বিচার বিশ্লেষণ করে তা নিজের ভিতরেই রাখাটাকেই আমার কাছে সমীচীন বলে আগেও মনে হয়েছিল, এখনো মনে হয়।

আমার পরিচিতরা বিশ্বাস করে আমি আওয়ামীলিগ ঘেষা। আমিও বলছি আমি আওয়ামী লীগ ঘেষা, তার প্রধান কারন হচ্ছে আমি বি.এন.পি কে দুই চোখে দেখতে পারি না। তবে একটা জিনিস বলে রাখা ভালো, আর তা হচ্ছে আমি আওয়ামী লীগকে পছন্দ করি আমার সুবিধার জন্য নয়, বরং আওয়ামী লীগ সামনের বার ক্ষমতায় আসলে আমার এবং আমার পরিবারের জন্যই সব থেকে বেশী ক্ষতি হবে। কেন ক্ষতি হবে এবং কিভাবে ক্ষতি হবে এটা আমার পরিচিতরা খুবই ভালো ভাবে জানে। তাই আর তা বলতে চাচ্ছি না। তবে হাফ লেডিস বি.এন.পি কে কখনোই সাপোর্ট করবো না।


.........................................................................................................
শুক্রবার-রবিবার-মঙ্গলবার
এক সংক্ষিপ্ত প্রেমের গল্প

লাইফে ৫ম তম মেয়ে আমার জীবণে আসল এই সপ্তাহে। তবে সবাইকে গার্লফ্রেন্ডের কাতারে ফেলানোটা উচিত হবে না। এদের মধ্যে থেকে বড়জোড় তিনজনকে আপনারা চাইলে গার্লফ্রেন্ড এর কাতারে ফালাতে চাইলেও ফালাতে পারেন। সর্বশেষ যে এই সপ্তাহে এসেছিল তার সাথে আমার সর্ম্পক ছিল তিনদিনেরপ্রথমদিন চ্যাটে পরিচয়, দ্বিতীয় দিন ফোনে কথা- তুই তুকারি সর্ম্পক- বিয়ের প্ল্যান, বিয়ের পর কক্সবাজার না রাঙ্গামাটি তা নিয়ে খুনসুটি, তৃতীয় দিনে কম খরচে কথা বলার জন্য একই ক্যারিয়ার সিমে কথোপকথন এবং সবিশেষে সর্ম্পকের সমাপ্তি ঘোষণা।

মেয়েটার প্রথমদিনের প্রথমভাগের চ্যাটে আমাকে লিখেছিল

excuse me!
r u bg?
আমি তার এক ঘন্টা পর রিপ্লাই দিয়েছিলাম,
nope... Today I am free, free like a bird ... you can knock me anytime you want...
জবাবে লিখেছিল সে,
tht's nice!!!!
u r free lyk bird,
thn fly freely in the sky,fly away frm all the cruel realities n,,,,,,,,,,,,enjoy urself.
nywy,i did go through ur prfle n i jst love it.
u r diffirent frm others,n smtimes spcl one too..

আমাকে প্রথমে সে বলেছিল আমি স্পেশাল, তারপর চ্যাটের একটা পর্যায়ে এসে সে বলল আমি নাকি ‘Extra Ordinary’তারপর চ্যাটের শেষাংশে এসে সে বলল,
i think u r sick in mentally.

তারপর সে নিজেই পাখি হয়ে উড়ে গেল আমার আকাশ থেকে, ঠিক যেভাবে এসে বসেছিল আমার জীবণের বারান্দায়। যাক উড়ে যাক সব পাখ-পাখালি, আমি একা আছি ভালই আছি। কোনো প্রকার উটকো ঝামেলা পোহানোর ইচ্ছাই আমার এখন আর নাই।
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………
Facebook Addiction

ফেইসবুকে আবিষ্কার করলাম, আমার এক পরিচিত মারাত্মক ভাবে আসক্ত হয়ে গিয়েছে ফেইসবুকের সাথে। প্রিতিদিনই ভাব গম্ভীর কিছু না কিছু পোষ্ট দিচ্ছে। ভাব গম্ভীর বিষয় নিয়ে আমি নিজেও বেশ পছন্দ করি। তাই তার করা বেশিরভাগ পোষ্টই আমার ভালো লাগে। ছেলেটাকেও ভালো লাগে আমার। তবে সমস্যা হচ্ছে অন্য যায়গায়। আর তা হচ্ছে, সে মারাত্মক ভাবে ফেইসবুক মেনিয়া তে ভুগছে। আমি তা ধরতে পেরেছি গতকাল। গতকাল ওর করা একটা পোষ্ট আমার ভালো লেগেছিল, কিন্তু শেষের দিকে এসে আর ভালো লাগলো না। তাই আর লাইক দেইনি। তবে তার পোষ্টের একটা কমেন্ট আমার বেশ পছন্দ হয়ছিল বলে লাইক দিয়েছিলাম। তারপর সকালে উঠে আবিষ্কার করলাম সে আমার পোষ্ট করা অনেকগুলো পোষ্টের কমেন্টে লাইক দিয়েছে। আমি বুঝতে পারলাম সে আমার উপর হয়তো কিছুটা বিরক্ত হয়েছে বা রাগ করেছে। আমারও একটু খারাপ লেগেছে কিন্ত আমার যদি ওর পোষ্ট পছন্দ না হয় তাহলে কেন আমি লাইক দিব ? আর ওই পোষ্টের কোনো কমেন্ট যদি আমার পছন্দ হয়, তাহলে কেন আমি ঐ কমেন্টে লাইক দিবো না ? আর লাইক জিনিসটাই বা এতো কি মূল্য রাখে আমি জানি না।

লাইকের পিছনে তার বাসনা দেইক্ষা কষ্ট পাইলাম কিছুটা।
.........................................................................................................


আমি গত ৬ বছর ধরে আমার নিজেস্ব পিসি ছাড়া আছি। তারপরও জুন মাসে চালু করতে যাচ্ছি সর্ম্পূণ নিজের একক প্রচেষ্টায় গড়ে তোলা একটা পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট। সাইটের জন্য অলরেডি ৬৭ জিবি নেটে আপলোড করা হয়ে গিয়েছে। আশা করি মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ২৫০-৩০০ জিবির কনটেন্ট রেডি করা হয়ে যাবে। তারপর আসবে জুন মাসের সেই বহূ প্রতিক্ষিত দিনটি... যার জন্য আমাকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল দীর্ঘ সাড়ে চারটি বছর!!!
 .........................................................................................................
.........................................................................................................

Thursday, April 11, 2013

একখন্ড পোড়া স্মৃতি...



একটা মটোরসাইকেল এর দাম কত হবে, ৭০ হাজার ? ১.৫ লাখ ? ২.৩ লাখ ? সর্বোচ্চ ৩ লাখ ?

তাই না ?

এখন আমাকে বলেন একগুচ্ছ স্মৃতির দাম কত হতে পারে ?
যে স্মৃতিতে থাকতে পারে প্রথম মটোরসাইকেল কিনার দিনটির কথা... বয়ষ্ক মাকে যেদিন জোড় করে হোন্ডায় চড়িয়ে ৫ গজের মতো চালাতে পেরেছিল আবদুল মতিন। আর তা দেখে তার ভাই বোনদের সে কি হাসা হাসি...

বা সেই স্মৃতিটির কথা যেদিন সে প্রথমবারের মতো হোন্ডার পিছনে চড়িয়েছিল তার জীবনসঙ্গিনীকে। লু বাতাসের উড়ন্ত এলোমেলো চুলের সেই স্মৃতির দিনটির কথা কি ভোলা যায় ?

বা সেই স্মৃতিটির কথা যেদিন নিজের আদরের আটকিয়ে আটকিয়ে কথা বলার চেষ্টা করা ছোট্ট মেয়েটিকে হোন্ডায় চড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিল কোন এক বৈশাখী মেলাতে। ছোট্ট সেই মেয়েটি হয়তো তার আলতো দুটি হাত দিয়ে চেপে ধরে রেখেছিল তার বাবাকে। আর তার বাবা একনিষ্ঠ ভাবে  ধরে রেখেছিল সেই হোন্ডার দুটি হ্যান্ডেল। চোখের সামনে বড় হয়ে যাওয়া সেই মেয়ে হয়তো গতকাল সকালেও নাস্তার টেবিলে আবদার করেছিল এবারের বৈশাখী মেলাতে নিয়ে যাবার জন্য...

সবই এখন স্মৃতি... একখন্ড পোড়া স্মৃতি...

গতকাল মটরসাইকেলটি নিজের চোখের সামনে পোড়ার সময় হয়তো সেই স্মৃতির দৃশ্যগুলোই  ঝাপসা চোখে বার বার ভেসে আসছিল আবদুল মতিনের... কি কষ্ট... কি কষ্ট...

Tuesday, April 9, 2013

হরতালের দিনগুলোতে একজন সঙ্গী আবশ্যক


হরতালের দিনগুলোতে মেরূল বাড্ডা হইতে কাওরানবাজার সোনারগাঁও মোড় পর্যন্ত সকাল-সন্ধ্যা, আসা-যাওয়ার জন্য একজন সঙ্গী আবশ্যক। সঙ্গীর বয়স, বর্ণ, এবং লিঙ্গ কোন মূখ্য বিষয় নয়, তাই যে কেউ যোগাযোগ করতে পারেন। তবে কাওরানবাজার এলাকার চাকুরিজীবিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। রামপুরা, বনশ্রী এলাকার ব্যক্তিবর্গও চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন।


উল্ল্যেখ্য বিষয়সমূহঃ
১। আসা যাওয়ার ভাড়া ভাগাভাগি করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে রিকশা দিয়ে আসা যাওয়া করলে ৭০ টাকা এর মতো লাগে, এবং সি.এন.জি দিয়ে আসলে ১০০ টাকার মতো লাগে, অর্থাৎ আগ্রহী ব্যাক্তিকে ৩৫ বা ৫০ টাকার মতো ভাড়া দেওয়া লাগতে পারে।

২। হরতাল ব্যাতিত দিনগুলিতে নিজ নিজ উপায়ে আসা যাওয়া করতে হবে।
৩। একসাথে আসতে হলে, একসাথে যেতেই হবে এরকম কোন বিধিনিষেধ নেই। আমার অফিস ৯ টা থেকে, তাই ৮.২০ কি ৮.৩০ হচ্ছে যাওয়ার সময়। আর আসার সময় হচ্ছে   বিকেল ৫ টা থেকে ৭ টার মধ্যে যেকোন সময়।
৪। শুক্রবার আমার অফিস বন্ধ, তাই শুক্রবার অফ ডে হিসেবে বিবেচিত হবে।


আগ্রহী ব্যক্তিগণ যোগাযোগ করতে পারেন নিন্মোক্ত ফেইসবুক লিঙ্কে মেসেজ পাঠিয়ে।

লিনক:
http://www.facebook.com/Sabbirahmed069
ইমেলঃ trivokal@gmail.com

বিঃদ্রঃ গত ৩০ দিনে ২০ দিনের মতো সি.এন.জি দিয়ে আসা যাওয়া করতে করতে আমার এখন বেহাল অবস্থা। তাই আগ্রহী ব্যক্তিগণ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিলে খুশী হবো। খুব প্যারার মইধ্যে আছি।

Monday, April 1, 2013

সাম্প্রতিক দাঙ্গা কিভাবে বাধছে ডিজিটাল বাংলাদেশে তার একটা নমুনা (১৮+)



আজ সকালে অফিসে এসেই দেখি, আমার পরিচিত একজন প্রিয় ব্লগার তার ফেইসবুকে একটা ছবি শেয়ার করেছে  অন্য আরেকটি পেজের। ছবিটি সত্যই অত্যন্ত নৃশংস। যে ই দেখবে তারই মাথায় চট করে রক্ত ঊঠে যাবে। ইচ্ছে করবে যে এই কাজটি করেছে তাকে গুলি করে মেরে ফেলি। তাকে না পেলে তার পরিবারের কাউকে। তার পরিবারের কাউকে না পেলে তার বংশের কাউকে। তার বংশের কাউকে না পেলে তার পুরো গোষ্ঠির কাউকে। আর সবশেষে তার পুরো গোষ্ঠির কাউকে না পেলে তার ধর্মের কাউকে... তবে মারতে কাউকে হবেই...  এবার ছবিটা দেখুন আপনি একবার...


আর এই হচ্ছে সেই পেজের লিঙ্কঃ  (আমি কমেন্ট করার পর পেজটি মুছে ফেলা হয়েছে)


কি ইচ্ছে করছে না এই মুসলমান বাচ্চাগুলোকে যে মেরেছে তার প্রতিশোধ নিয়ে ফেলি এখনই... দেখুন তো আশপাশে খুজে পান কিনা কোন মন্দির বা বোদ্ধ মন্দির... না পেলে খুজে বের করুন একজন বোদ্ধ ধর্মাবলম্বীকে। যার উপর হামলা করে এই নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচার পাওয়া যাবে।

কি প্রস্তুত হয়েছেন তো লাঠি সোঠা নিয়ে ?

হামলা করবার আগে একবার কি ঘুরে আসা যাবে নিচের লিঙ্ক থেকে?


আরো কিছু ছবি









দেখুন তো চিনতে পারেন কিনা আগের ছবির মাসুম বাচ্চাগুলোর মুখগুলোকে... চিনতে পেরেছেন ?


ওরা ছিল শ্রীলঙ্কার সংখ্যালঘু তামিলআদিবাসীদের কিছু মানুষ যাদেরকে আজ থেকে আরো ৩ বছর আগে ২০০৯ সালে হত্যা করা হয়েছিল গৃহযুদ্ধের সময়। যা হয়তো আমাদের সাথেও হতে পারে, যদি কিনা এই ধরনের উল্টা-পাল্টা ভুয়া নিউজে দেশের মানুষকে উত্তেজিত করে তোলা যায়।

তাহলে নিশ্চয়ই এখন আর আগের মতো মাথাটা গরম হচ্ছে না, তাই না ? কারণ ওরা তো মুসলমানের বাচ্চা না। আর যেহেতু মুসলমানের বাচ্চা না, তাহলে ওরা তো মানুষের কাতারে পরে না। তাই না ?
এখন আপনি আমাকে বলেন, আপনি কি পরেন তথাকথিত সেই ‘মানুষের কাতারে’ ?
আপনার ধর্ম কি আপনাকে এই শিক্ষা দিয়েছে যে, একটা বিষয়ে ভালোভাবে না জেনে অন্যের উপর দোষ আরোপ করে নিরীহ মানুষকে ধর্মের দোহাই দিয়ে, উষ্কানীমূলক পোষ্ট দিয়ে, যুলুম করে ঘর বাড়ি সব ভেঙ্গে দেওয়া ?

আপনার এতোদিনের অর্জিত শিক্ষা থেকে কি আপনি এতোটুকুও শিখেন নি যে কিভাবে একটা সোর্স এর তথ্য সঠিক না ভুল তা যাচাই করে দেখা যায়। ফেইসবুক, ব্লগ, তুরাগ বাস, আর ৬ নাম্বার বাসে তো ধুপ ধাপ করে অনেক কথাই বলে ফেলেন। একবারও কি ভেবে দেখতে ইচ্ছে করে না, যে কথা গুলো বলেছেন তা আদো সত্য কিনা ?

আপনার একটা ভুল কথার জন্য ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যেতে পারে একটা পরিবারের স্বপ্ন। তাই না জেনে শোনে একটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে দেওয়া কি ঠিক হচ্ছে ?