Tuesday, February 12, 2013

শিবিরের কর্মীদের মস্তকে যে বুদ্ধি রইয়াছে, তাহা আমি আগেই জানিতাম... তবে আজ স্বচক্ষে দেখিলাম।

শিবিরের কর্মীদের মস্তকে যে বুদ্ধি রইয়াছে, তাহা আমি আগেই জানিতাম... তবে আজ স্বচক্ষে দেখিলাম।

আমি খোশ মেজাজে আফিসে বসিয়া লাড্ডূ খাইতেছিলাম। আমার আফিস আবার কাওরানবাজার। বসুন্ধারা সিটির পাশেই, BDBL ভবনে। শাহবাগও এইখান হইতে খুব বেশী দূরে নয়। ২০ তলা ভবন বলিয়াই হয়তো জানালা দিয়া উকি মারা মাত্রই শাহবাগ দেখা যায়। শাহবাগ দেখিলেও শাহবাগের সাম্প্রতিক উত্তাপ এখন পর্যন্ত দেখিবার সুযোগ হইয়া উঠে নাই। বিডিজবসের হালকা কাজের চাপে আমার বর্তমান অবস্থা নাস্তানুবাদই বলা চলে। তবে আজ সকাল হইতেই আফিসে আজ আমার কাজের চাপ নাই বলিলেই মনে হয় উত্তম বলা হইবে। বেলা ১০ টা নাগাদ হইতেই লেপটপ খুলিয়া আজাইড়া কাজ করিয়া বেড়াইতেছি। বেলা ১১ টার দিকে আফিস হইতে ২ পিস লাড্ডু পেলুম। লাড্ডূ বলিতে আমি লাড্ডূ-ই বুঝাইতেছি, শূন্য নহে। বিডিজবস আবার আমাদের সারাদিনে ব্যাপক কিছুই খাওয়াইয়া থাকে, চা, নাস্তা, লাঞ্চ...চা...বিস্কিট... আরো কত কি...

আজ একটু আগে (১১টা নাগাদ) খাওয়াইয়া ছিল ২ পিস 'লাড্ডূ'। আমি লাড্ডূতে কামড় দেওয়া মাত্রই আবিস্কার করিলাম হই হই রই রই আওয়াজ। খাইবার কালে এই রকম আওয়াজ আমি এর আগে কখনোই শুনি নাই। জানালা গলিয়া উকি দেওয়া মাত্রই দেখিলাম 'শিবিরের' একটি শান্ত মিছিল ব্যানার হস্তে লইয়া কাওরানবাজার মোড় অতিক্রম করিতেছে। কাওরানবাজার মোড়ে টহ্লরত পুলিশ ও একটি সম্যক কাজ দেখিয়া মিছিলটার পিছু একটা দৌড়ানি দিল। মিছিলের সহিত পুলিশও দৌড়ে আমার চক্ষুর অন্তরালে মিলিয়া গেল।

এর পরপরই দেখিলাম 'শিবিরের' কেরামতি। আরেকদল আসিয়া পড়িল কাওরানবাজার মোড়ে, হস্তে তাহাদের দেশীয় অস্ত্র। বুঝিলাম আগের ব্যানার মিছিল ছিল নিছক পুলিশ কে ফুলিশ ফানানোর ফন্দি। ততক্ষণে মোড়ে আর কোনো পুলিশের টহ্ল দেওয়ার বাহিনী ছিল না সেইখানে। অতঃপর ভাংচুর কাহাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি তাহা স্বচক্ষে দেখিবার সুযোগ হইলো।।

আমি আজি ধন্য।।

Saturday, February 2, 2013

সেডের (sade) সংগীত মূর্ছনা

জাজ সংগীত কি, তা হয়তো আমি মূর্খ কখনোই ধরতে পারতাম না যদি না সেডের গান গুলো শোনা না হতো। হয়তো তার থেকেও নামকরা জাজ সংগীত থেকে থাকবে, কিন্তু তার কন্ঠস্বর আমার ভিতরে গভীর দুঃখ অনুভূতির জন্ম দেয়। সেডের গানগুলোতে আপনি কোন ধুম -ধারামের আওয়াজ পাবেন না, আর যেটা পাবেন তা হচ্ছে জাজ সংগীতের শ্রুতিমধুর বাদ্যযন্ত্রের শব্দ। যাই হোক নিচে তার জনপ্রিয় গানগুলোর ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলো, শুধুমাত্রই 'জাজ উইত সফট রক 'ঘরনার ভক্তদের জন্য।
...............................
By your side - sade
..............................
Click This Link
..............................
No ordinary love
..............................
Click This Link
.............................
Babyfather
.............................
http://n1.vmuzike.net/a/sade/Babyfather
.............................
Soldier of love
.............................
http://www.musicisart.ws/music/dec/sade.mp3
.............................
Smooth operator
.............................
Click This Link
.............................
Your love is king
.............................
Click This Link
............................
King of sorrows
............................
Click This Link
............................
The sweetest taboo
............................
Click This Link
............................
Sade - The Moon and The Sky (Remix)(Feat. Jay-z)
.............................
Click This Link).mp3
.............................
Flow
.............................
Click This Link
.....................
.....................
এই গানগুলো আপনার ভালো নাও লাগতে পারে কিন্তু শোনার সময় বিরুক্তি লাগবে না। ভালো থাকবেন।

এমিনেম উপখ্যান

'এমিনেম ' এই শব্দটি পড়ার পরই হয়তো আপনাদের অনেকের ব্রু কুচকিয়ে গেছে বিরক্তিতে। আমারও কুচকাতো ২ মাস আগে। আমি Rap গান ৩ মাস আগেও পছন্দ করতাম না। এমনকি যারা শুনতো বলে মনে হতো তাদেরকে মানসিক ভাবে বিকৃত বলে মনে হতো। আপনি হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন যারা এই ক্যাটাগরির গান শুনে থাকে তাদেরকে 'rapist ' এর মতোই লাগে অর্থাৎ 'ধর্ষকের 'মতো। আমি বলতে গেলে অবসর থাকলেই গান শুনি, রবীন্দ্রসংগীত থেকে কালের হার্ড রক, বাদ রাখি নাই মোটামুটি পরিচিত কোন ক্যাটাগরি। বাদ ছিল মোটে দুটি, 'pure rap ' আর 'heavy metal '। হেভী মেটালের ধুম ধাম এখনো কানে তুলে অভ্যস্ত করতে পারিনি নিজেকে তবে Rap গানে কি আছে এমন তা আবিষ্কার করতে যেয়ে এমিনেমের বিশাল বড় ভক্ত হয়ে গেছি। রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে কলম হাতে নেই নি কখনো, কিন্তু এমিনেমের জন্য কলম হাতে নিলাম।

কিভাবে এবং কেন তার একজন অন্ধ ভক্ত হয়েছি তা নিয়ে আজকের এবং আগামীতে কিছু পোস্ট দিব আমি। আপনাদের যদি গালিগালাজ করতে ইচ্ছা করে তাহলে মন খুলে করতে পারেন, আমি কিছুই বলবো না। কারণ এমিনেমের প্রতিটি গানের গালিগালাজ শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। তাই খারাপ হয়তো লাগবে না আপনাদের দেশী গালিগালাজকে।
......................................................................................................

............................................।এমিনেম।...........................................
মার্শাল ব্রুশ মেদারস(Marshall Bruce Mathers)জন্ম ১৭ অক্টোবর ১৯৭২ সালে।তার মঞ্চ নাম হল - এমিনেম(Eminem),একজন আমেরিকান ইংরেজি র্যাপার,রেকড প্রযোজক এবং অভিনেতা। এমিনেম অতি তাড়াতাড়ি বিখ্যাত হয়ে যান তার দ্বিতীয় অ্যালবাম(The Slim Shady LP) দিয়ে যা গ্রেমি পুরস্কার পেয়েছিল বেস্ট র্যাপার অ্যালবাম হিসেবে।এরপরের অ্যালবাম ( The Marshall Mathers LP) আমেরিকার সঙ্গীত ইতিহাসের মধ্যে সবচেয় তাড়াতাড়ি বিক্রিত অ্যালবাম হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে।এমিনেমের একটা গ্রুপ রয়েছে যার নাম হল D12। এমিনেম বিশ্বের অন্যতম সেরা এলবাম বিক্রি হওয়া শিল্পী এবং ২০০০-১০ এর সেরা এলবাম বিক্রি হওয়া শিল্পী। তাকে কালের অন্যতম সেরা শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। অনেক ম্যাগাজিন তাকে এই তালিকায় স্থান দিয়েছে এবং Rolling Stone ম্যাগাজিন তাকে ৮২ নং স্থান দিয়েছে সেরা ১০০ জন এর তালিকায়। ঐ ম্যাগাজিন ই তাকে 'দ্যা কিং অফ হিপ -হপ ' উপাধি দিয়েছে। D12 এর সাথে তার Bad Meets Evil কাজটি সহ তিনি ১০ টি ১ম স্থান অধিকারি অ্যালবাম পেয়েছেন Billboard 200 এ।তিনি ৪কোটি ২০ লক্ষ গান বিক্রি করেছেন এবং প্রায় ৪ কোটি ১৫ লক্ষ এলবাম বিক্রি করেছেন বিশ্বব্যাপী। এমিনেম প্রথম সবার নজর কারে ১৯৯৯ সালে তার প্রথম এলব্যাম 'The Slim Shady LP ' দিয়ে। 'The Slim Shady LP ' সহ তার পরবর্তী দুটি এলব্যাম, 'The Marshall Mathers LP ', এবং 'The Eminem Show ', তিনটাই গ্র্যামী এওয়ার্ড জিতে নেয়, যা এমিনেম কে পর পর তিনবার 'সেরা র্যাপ এলব্যাম 'গ্র্যামী জয়ী প্রথম এবং একমাত্র শিল্পী হিসেবে পরিণত করে।

এমিনেমের বয়স যখন ১৮ মাস তখন তার বাবা তার মাকে ফেলে চলে যায়। এমিনেম পরবর্তীতে একা একাই তার মায়ের কাছে বড় হয়। তার যখন ১২ বছর তখন তার মা জীবিকার সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায়, শহরে ঘুরে বেড়ায় যা এমিনেমের মনস্তাত্ত্বিক জগতে এফেক্ট ফেলায়। সে বড় হয় বন্ধু বিবর্জিত পরিবেশে। সে একা একা থাকাকালীন সময়ে গল্প বলার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে, তাই সে মিউজিকে আসার আগে কমিক আর্টিস হওয়ার স্বপ্ন বুনেছিল। এগারো বছর বয়সে তার আংকেল 'রুনি ' নেলসন এর কাছ থেকে একটা মিউজিক এলব্যাম উপহার পাবার পর সে মিউজিকে আগ্রহী হয়ে উঠে। সে তার এই আঙ্কেল কে খুব ভালোবাসতো, তাই তার মৃত্যুর পর সে তার শরীরে 'রুনি ' নামে ট্যাটু আকায় এবং অনেক গানে তাকে মেনশন করে থাকে। পরবর্তী পোস্টে এ বিষয়গুলো সহ আরো কিছু এমিনেম ফ্যাক্টস তুলে আনার চেষ্টা করবো। আপাতত এই গানটি শুনে দেখতে পারেন।

Airplane part 2 :
এই গানটি এমিনেম এর টপলিস্টে নেই কারণ এটি এটা এমিনেমের মৌলিক গান নয়। এটা হচ্ছে B.O.B এর 'Airplane ' এর সিকুয়্যাল গান, যেটা ফিচারিং করেছে William এর সাথে এমিনেম। Airplane part 2 পরবর্তী সময়ে Grammy এর সেরা pop 'collaboration with vocals ' সেকশনে নমিনেশন পেয়েছিল। আপনারা হয়তো ভাবছেন এমিনেম এর গান না হওয়া সত্ত্বেও কেন এটাকে এতো গুরুত্ব দিচ্ছি, 'গাইতে এসেছি শিবের গান, বলে যাচ্ছি রামকথা '। দুটো কারণে এই রামকথা বলছি।
১. Rap সং অনেকেই পছন্দ করে না। যেহেতু এই গানটি পুরোপুরি Rap নয় বরং একটি কোলাবরেটেড গান তাই অনেকেরই পুরোপুরি খারাপ লাগবে না।
আর ২ নং কারণটি বলার আগে আমি গানটির বিষয়বস্তু নিয়ে কিছু বলতে চাই। গানটি আমাদের গোপণ স্বপ্ন লালন করার প্রতি জোড় দিয়েছে। ৪ শিল্পীর সমন্বয়ে যেহেতু গানটি করা, তাই এই ৪ জন নিজেদের স্বপ্নের কথা বলেছেন নিজেদের জীবণের আলোকে, এবং তারা যদি স্বপ্ন না দেখত তাহলে কি হতো তা ও বলেছে। শেষ পার্টে এমিনেম যখন তার কথাগুলো বলে তখন আপনি দেখতে পারবেন তার 'এমিনেম ' হয়ে উঠার গল্পটি। কি হতো যদি সে সুযোগ পেত তার বাবার ছায়া মাথায় নিয়ে বড় হবার, যদি সুযোগ পেত অন্য ১০ টা ছেলেমেয়েদের মতো শৈশব কাটানোর, সামাজিক ভাবে বেড়ে উঠার বা থাকতো কেউ এমন বন্ধু বলে ডাকার...
এরকম কিছু ব্যথার কথা এমিনেম বলেছে তার চিরচারিত ভাষায়। গানটি ডাউনলোড করতে পারবেন নিচের এড্রেস থেকে :

Click This Link

আর লিরিকস্ পাবেন নিচের এড্রেসে :
Click This Link

গান ভালো লাগুক আর না লাগুক, পরের পোস্টে এমিনেমের টপলিস্ট নিয়ে হাজির হবো।
......................................................................................
......................................................................................

খোলা চিঠি ; প্রাপক : আমার হইলেও হতে পারত শালি তৃষাকে

স্নেহাশিস তৃষা ওরফে তৃষু,
পত্রখানা শুরু হইবার কালেই আমার নিকট হইতে একগুচ্ছ হলুদ গোলাপের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করিতেছি। পৃথিবী নামক এই গ্রহে নাকি ৫৫০ এর ও অধিক গোলাপের প্রজাতি রইয়াছে। বিভিন্ন রঙ্গের গোলাপ আবার বিভিন্ন অর্থও বহন করিয়া থাকে বটে। তন্মধ্যে হলুদ গোলাপের যে কিছু অর্থ থাকিবে না, তাহা হয় না। সুদূর আদিকাল হইতে হলুদ রংয়ের গোলাপ ফুল ঈর্ষার প্রতীক হিসেবে গণ্য হইলেও বর্তমানে হলুদ রংয়ের গোলাপ বন্ধুত্ব, বাড়ির সুখশান্তির প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হইয়া থাকে। "দূঃখিত" অর্থ প্রকাশের উদ্দেশ্যেও হলুদ গোলাপ ব্যবহৃত হইয়া থাকে। আমি অধম এই পত্রখানায় হলুদ গোলাপের সকল অর্থ মস্তকে রাখিয়াই আপনাকে শুভেচ্ছা জানাইতেছি। আমি যদিও ফুল ফল আকডুম বাকডুম পছন্দ করি না তবুও হলুদ গোলাপের শুভেচ্ছা দিয়াই আপনাকে বাধিত করলাম বৈ কি। যদিও হলুদ শব্দটি আসলেই কোষ্টের রং মস্তকে উদিত হয় তবুও যে ইহা একটি ফুল তাহা অস্বীকার করিবার কোন অবকাশ নাই। আর হইলেও তো হইতে পারিতেন আপনি আমার শালি তাহাও যে অস্বীকার করিবার কোন উপায় নাই। টিভি চালু করিলেই হয়তোবা আপনি দেখিতে পাইবেন ফ্রি এর রকমারি বিজ্ঞাপন। "ফ্রী ফ্রী ফ্রী জলদি কিনুন, একটা মোটা ভোটকা আটার বস্তার সাথে একটি সুদৃশ্য চামুচ ফ্রী !!!"। এরকম চামুচ পাইবার একটি সূক্ষ্ম গোপণ ইচ্ছে যে মনে কখনোই জাগে নাই, তাহা বলিলে ভুল বলা হইবে। কবি বলেছেন -

"ওরে পাত্রি খোঁজ তোরা, শালি ও যেন থাকে এক জোড়া! "

 আমার অবশ্য একটা হলেই চলত। সে যাহাই হোক, সূক্ষ বাসনা সূক্ষভাবেই মিলিয়া যাইতেছে মনের অন্তরালে তাহা বলিলে অবশ্য ভুল বলা হইবে না।

'আপনার নিকট পত্র পাঠানোর উদেশ্য আপনাকে ত্যক্ত করা' বুঝিয়া ভাবিয়া থাকিলে ভুল ভাবিতেছেন। আমার নিকট আপনার মুঠোফোন নাম্বার আছে বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই, তাই আমি তা করিতে চাইলে আগেই করিতে পারিতাম। শুধু আপনার নয়, বরং আপনাদের বংশের অধিকাংশ সদস্যদের নাম্বারই স্বযতনে টুকিয়া রাখিয়াছি আমার দিনপঞ্জিতে। কিন্তু আমি সাময়িক সময়ের জন্য কেহকেই বিরক্ত করিব না বলিয়া প্রতিজ্ঞা করিয়াছি। আমি নিজেকে কিয়ৎকালের লাগিয়া সময় দিতে চাইতেছি। যদি আমি বুঝিতে পারি যে একটি আটার বস্তা পাইবার প্রবল ইচ্ছা আমি মস্তিষ্ক হইতে দূর করিতে পারিয়াছি ঠিক সেই মূহুর্তে আমি আপনার বাবুকে কল করিয়া বলিব, 'আটার কারবারি ব্যাবসা করিবার কোন প্রকার ইচ্ছাই আমার আর নেই, আপনি নিশ্চিন্ত চিত্তে যেথায় খুশী বিকিয়ে দিতে পারেন,সেটা পাইকারি দরেই করেন আর খুচরা দরে, আমি আর কাউকেই বিরক্ত করিব না '। আপনি হয়তো ভাবিতেছেন আমার মতো চুনোপুটি কি ই বা আর করিতে পারিবে। আমি স্বীকার করিতেছি আমি সত্যিই একজন চুনোপুটি, ঠিক একজন ভিক্ষুকের ন্যায়। তবুও আমি জানি, এটা আপনার জ্ঞাত যে একজন ভিক্ষুকেরও বিরক্ত করিবার এক অদ্ভুত ক্ষমতা ভগবান দিয়েছেন, যদিও তাহা বেশীক্ষণ গায়ে লাগানোর মতো জিনিস নহে.. সে যাহাই হোক আমি আবুল কিন্তু চাইলে কিছু ন্যাক্কারজনক ঘটনা এখনই ঘটাইতে পারি, তাছাড়া আপনি ঢাকায় কোথায় থাকিতেছেন তাহা বের করা এই অধমের ডাইন হস্তের কাজ। বাম হাত বলিলাম না, কারণ আমার বাম হাত বর্তমানে প্লাষ্টার করা অবস্থায় গলায় ঝুলানো রইয়াছে। আপনি হয়তো ইতোমধ্যেই জানিতে পারিয়াছেন যে আমি আপনাদের দূর্গন্ধময় বাথরুমে বসিয়া বাম হস্তের রগ কাটিবার একটি ক্ষুদ্র অপচেষ্টা চালাইয়াছি। ব্লেড ভাল পড়ে নাই, sharp company এর ছিল। তিন চার বার পোজ দিয়েও লাভ হলো না, এই ব্লেড দিয়ে শরীরের অবাঞ্চিত লোম কাটা গেলেও রগ কাটার জন্য যতেষ্ট নয়। রাজু অবশ্য বলেছিল, জিলেট নাকি ভালো। সে যাহাই হোক রগ কাটিয়াছে বটে, তবে যে দুটি রগ কাটিয়াছি তাহা টেনটেটিভ ভেইন ছিল বৈ কি। না হইলে কি আমি আমার 'হইলেও হইতে পারিত ' শালীবাবুকে কি পত্র মারফত কিছু জানাইতে পারিতাম!
তবু কেন জানি আমার মনে হইতেছে যে আমি সব মানিয়া নিতে পারিব, কেন এমনটি মনে হইতেছে তাহা আমি বলিতে পারিব না, হতে পারে তা রাজুর সরলতা দেখিয়া বা অন্য কোন কারণে ...
আপনি বিশ্বাস করিবেন কিনা জানি না তবুও বলিতেছি,

আমি ১৮ তারিখ সকালে আপনার দিদির মুঠোফোনে একবার কল করিবার পর হইতে এই পর্যন্ত একবারও কল করি নাই। কেন করি নাই তাহার উত্তর হয়তোবা ভগবানই ভালো বলিতে পারিবেন। আপনার দিদি ছিল আমার নিকট পায়খানার মতো। অবাক হইবার কিছুই নাই ইহাতে। ইহা বলার পিছনে যতেষ্ট যুক্তি রইয়াছে আমার নিকট। আমরা না খেয়ে দিন পার করিতে পারি বা ক্ষুধা লাগলেও তা নিবারণ করিতে পারি কিন্তুক হাগা ধরিলে তা নিবারণ করা বড্ডো মুশকিলের কাজ। আপনার দিদির সাথে কথা না বলে থাকাও ছিল আমার জন্য মুশকিল। গত ছয় বছর যাবৎ এমন একটা দিনও অতিবাহিত হয়নি যে সে আমার সহিত কথা না বলিয়া থাকিতে পারিয়াছে বা আমি পারিয়াছি। আমার সহিত তাহার শেষ কথা হইয়াছে গত পরশু রাত ৮ ঘটিকার পর। তারপর .... তারপর তাহার সহিত আমার যেরূপ কথাও হয়নি সেরূপ হাগাও না। হাগিতে পারিতেছি না অবশ্য সেচ্ছায় অথবা ভয়ে। ভয় হচ্ছে কারণ ডান হস্ত এই ক্ষেত্রে ব্যাবহার করিতে কারই বা ভালো লাগবে!? (আমি অবশ্য পরে হাগিয়াছি, দক্ষিণ বাহুর ব্যাবহারও করিয়াছি। সূক্ষ একটি বুদ্ধি অবশ্য কাজে লাগাইয়াছি, যদি কখনো দরকার পরে জিজ্ঞেস করিতে লজ্জাবোধ করিবেন না। কবি বলেছেন, "প্রয়োজনে যে মরিতে প্রস্তুত, বাঁচিবার অধিকার তাহারই")

আপনার নিকট আমি কোন আবদার, অনুরোধ, আদেশ, নিষেধ ... বা কোন উদ্দেশ্য লইয়া লিখিতে বসি নাই। গত ছয় বত্সর ধরিয়া আপনাদের সকলের কথা কান চুলকাইতে চুলকাইতে যে কত হাজারবার শুনিয়াছি তাহা বলিয়া আপনার কানেও চুল্কানি আনিবার উদ্দোগ আমি নিতে চাইছি না। সেটা আপনাদের প্রাক্তন চাকর ভূবনই হোক বা পাতাল, সন্দিপ হোক আর বদ্বীপ, অথবা সমুদ্রই হোক বা সৈকত ...আমি সবার কথাই জানি। আপনি হয়তোবা মনে মনে ভাবিতেছেন 'So what ', তাই আমিও আপনার সহিত তাল মিলাইয়া বলিতে চাই 'so what'। আসেন আরো তিনবার বলি so what।

So what
So what
So what

এখন আপনাকে বলি, আসল বিষয়টি হচ্ছে, আমি আপনাদের সহিত এমনভাবে জড়াইয়া গিয়াছি যে, এর মধ্য হইতে বাহির হইতে কিছুটা সময় লাগা অস্বাভাবিক নয়। ইহার মানে আবার এই নয় যে আমি আপনার দিদির সাথে যোগাযোগ রাখিতে চাইছি। আপনার দিদির সাথে রিলেশন কাট আপ হওয়ার কিছু লাভ হয়তোবা আমারও আছে, যা এই সময়ের প্রেক্ষাপটে হয়তোবা দৃশ্যমান নয়।

মোদ্দকথা হইতেছে যে আমি হয়তোবা আরো ভালো মেয়ে পাব (আঙ্গুর ফল টক)। অবশ্য মেয়ে মাইনসেরে আমি কেন জানি ভাল পাই না। গন্ধ গন্ধ লাগে। কবি অমরভোগ বলিয়াছেন, "নারী জাতি, সে তো বাসি পচা রূপচাঁদা মাছ "। বিশ্বাস না হলে আপনি আপনার উত্তর বাহুর সন্দিক্ষণে নাক ডুবাইয়া দেখিতে পারেন, রূপচাঁদা না হোক টাকি মাছের গন্ধ হইলেও পাইবেন বলিয়া আমার বিশ্বাস। মন খারাপ করিবেন না আবার যেন, ইহাকে আপনি আপনার গুন ধরিয়াও খুশী হইতে পারেন বৈ কি! আমি তো আপনার জায়গায় থাকিলে অনেক টাকা বাঁচাইতে পারিতাম। ঢাকায় থাকি, বাবা মা বাড়িতে ... বাসায় বুয়ার অভাব, আর পারি বলিতে বলিতে হইবে শুধু ভাত রাধিতে। তাই আপনার জায়গায় থাকিলে তো কেল্লা ফতে, এক গামলা ভাত নিয়াই বসিয়া পারিতাম। লবণ দিয়া মাখাইয়া এক নলা করিয়া মুখে দিতাম আর চর্বন করিবার আগেই নাক দিয়ে বাহুর সন্দিক্ষণের টাকি মাছের স্বাধ লইয়া গামলা সাবার করিতাম। এই সৌভাগ্যই বা কয় জনের হয় বলেন?
...হে ভগবান পরের জন্মে মেয়ে হয়ে জন্মানোর সুযোগটুকু অন্তত আমাকে দিও, টাকি মাছ দিয়ে ভাত খেতে না পারলেও একটা ছেলের জীবন যেন খেতে পারি...

আমি কখনোই কথার বরখেলাপ করি নাই, এবং মনেও হচ্ছে না কখনো করবো। আপনার সহিত আমার কোনপ্রকার যোগাযোগ কখনোই ছিল না, সামনেও থাকবে না।তবে এই ধরনের খোলা চিঠি হয়তোবা আরো পাঠাবো,কোন প্রকার রিপ্লাইয়ে আশায় না এমনি পাঠাব। তোমাকে পাঠাবো, রাজুকে পাঠাবো, তোমার দাদাকে পাঠাবো, উৎপলদাকে পাঠাবো আর পাঠাবো তোমার মাকে...তবে তোমার দিদিকে নয়... আপনি চাইলে আমাকে ব্লক করতে পারেন, ঐ অধিকার আপনার আছে। এর মানে আবার এও মনে করবেন না যে আমি আপনার দিদির আশায় বসে আছি। কারণ আমি জানি সময় হলে সে ঠিকই আমার সাথে যোগাযোগকরবে।
ঋষি কবি বলেছেন--

ঘুরলেন তিনি আকাশ পৃথিবী,
শেষকালে এসে দাঁড়ালেন
প্রথমজাত অমৃতের সম্মুখে।
হয়তোবা তখন.... থাক সময়ই কথা বলবে ...
.....................................
....................................

খোলা চিঠি ; প্রাপক আমার হইলেও হতে পারত শালা বাবু 'রাজু বকসী'

প্রিয়তমেষু রাজু ওরফে রাজা,
বদনারও যে নাম থাকে তা আগে কখনো লক্ষ্য করি নাই। আজকে করলাম। বোনের বাসায় দুইটা বাথরুম আছে। একটায় বদনা আছে, আরেকটায় নাই। যেটায় আছে ঐটার বদনার নাম হইলো গিয়া 'রাজা '!! বিশ্বাস হচ্ছে না? না হউয়ারই কথা। 'সাগর ' নামে কোন বদনা থাকলে সেটা আমার কাছে অবিশ্বাস্যই ঠেকাবে। যাই হোক আমি তোমাকে ঐ ভাঙ্গা বদনার ছবি তুলে পাঠাবো। হয়তোবা এতে তোমার কিছু যায় আসবে না, কিন্তু আমার আসবে। আমি অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয় নিয়েও মাথা ঘামাই, অযথাই। একটা সময় ছিল যখন একটা মেয়ের পা দিয়ে মাড়িয়ে যাওয়া ধুলোও সংরক্ষণ করার জন্য মন আঁকুপাঁকু করতো। ওই সময়ের ওই দিনগুলোতে ওই মেয়েটির থেকে পাওয়া বা কুড়িয়ে নেওয়া কিছু জিনিসের ফিরিস্তি দিলে তুমি হয়তোবা কিছুটা আচঁ করতে পারবা। আমার একটা বাক্স আছে, ঐটাতে আমি ঐ মেয়েটার থেকে পাওয়া (বিশেষ করে ব্যাবহার করে ফেলে দেওয়ার মতো জিনিসপত্র) জিনিসপত্র রাখি। বিভিন্ন বদনার মতো আমার অই বাক্সটারও একটা নাম আছে, 'তন্দ্রা বিলাস '। ঐ বাক্সটায় ভাঙ্গা চুলের ক্লিপ থেকে শুরু করে হাতের নখ পর্যন্ত আছে। ঐ মেয়েটার খেয়ে বেচেঁ যাওয়া পপকর্ণ সুন্দর করে প্যাকেট করা আছে। গত চারবছরে পপকর্ণ গুলো একেবারে চিপসে কালচে দাগ পরে গেছে। একটা টুরিস্ট চকলেটের খালি প্যাকেট টিস্যু দিয়ে পেচিয়ে রাখা আছে। একবার সে আমাকে পেভিসন ঔষুধ কিনে দিয়েছিল। সেটা আমি ব্যাবহার না করে রেখে দিয়েছিলাম বাক্সটিতে। আমার ওয়ারিদ নাম্বারটা ও কিনে দিয়েছিল, অই প্যাকেটাও আছে ওখানে। একটা আংটির ছোট বাক্স আছে ওখানে। ওটাতে আংটি না থাকলেও একটা ভাঙ্গা মাথার ক্লিপ, একটা ক্লোরমিন্টের খালি প্যাকেট, একটা দলা মোচড় হয়ে যাওয়া টিস্যু, একটা চুল, আর একটা আধ খাওয়া সিগেরেটের টুকরো আছে। সিগেরেট টা সে আমার জন্মদিন উপলক্ষে খেয়েছিল। একটা প্যাকেটে ২৩ টা স্ট্র রাখা আছে যা দিয়ে সে একসময় কোল্ডড্রিংস্ক খেয়েছিল। একদিনে না অনেক দিন লাগিয়ে খেয়ে থাকা স্ট্র...আর আছে অনেক কাগজে বানানো নৌকা, বাক্স আর রং বেরঙ্গের প্লেন...আরো অনেক কিছুই আছে যা তোমাদের ভাষায় হয়তো অর্থহীন ছাগলামি, কিন্তু কারো কারো কাছে ওগুলোর আলাদা একটা অর্থ আছে। যে অর্থ হয়তো একটা টোকাইকে ডাস্টবিন থেকে কুড়িয়ে পাওয়া মানুষের পরিত্যক্ত জিনিস খুজে পাওয়ার আনন্দ দিয়ে থাকে। যে আনন্দের সিকি ভাগও হয়তোবা তোমরা কখনো বুঝতে পারবা না।

৫ বছর আগে যখন তোমাদের আর আমাদের পরিবারের সফল প্রচেষ্টায় আমার আর তন্দ্রার মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করানো হয় তখন জীবনে প্রথমবারের মতো আমি একটা বড় সর ধাক্কা খেয়েছিলাম। রাতে একা একা কথা বলতাম, হাসতাম, কাদঁতাম... একসময় ঘুমিয়ে পরতাম... মাকে তখন খুব ভয় পেতাম তাই জোড়ে কান্না করতে পারতাম না।বালিসে মুখ গুজে নিশ্বাস বন্ধ করে নিঃশব্দে কান্না করার ক্ষুদ্র অপচেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলাম অনেকদিন ধরে... আমার বাক্সটার নিচের দিকে একটা ফাইল আছে। ফাইলে আমি তন্দ্রার মতো দেখতে মানুষের ছবির পেপার কাটিং রাখতাম। ওখানে ছেলেদেরও কিছু ছবি আছে। একদিন পেপারে দেখলাম একটা মেয়ের ছবি দিয়েছে। দুই বোনের ছবি। বড় বোন বসে আছে হাস্যজ্জ্বল মুখে , আর তার পাশে ছোট বোন দাড়িয়ে আছে। বড় বোনকে দেখে আমার চোখ পেপারে আটকিয়ে গেয়েছিল। পাশের ক্যাপশনে লেখা ছিল, 'মিথিলা বাচতে চায় '। পেপারটা সযত্নে রেখে দিয়েছিলাম আমার ড্রয়ারে। রাতে সবাই ঘুমিয়ে পরলে ড্রয়ার থেকে বের করে বালিশের তলায় গুঁজে রাখতাম। রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে তা বের করে মোবাইলের হলুদ আলোতে ছবিটার দিকে তাকিয়ে থাকতাম। একসময় লেখা গুলো ঝাপসা হয়ে আসতো। ঝাপসা লেখা গুলোকে মনে হতো 'তন্দ্রা বাঁচতে চায় ' আর মনে হতো ক্যান্সারটা ঠিক মিথিলার নয় ক্যান্সারটা হয়েছে তন্দ্রার...

পেপারে মেয়েটার বাবার নাম্বার দেওয়া ছিল। আমি প্রায়শই ফোন করে জিজ্ঞাসা করতাম মিথিলার কি খবর? উনি কখনো বলতেন ভালো, আর কখনো ক্লান্ত স্বরেই বলতেন ভালো। আমি কখনোই উনাকে সাহায্য করতে পারিনি, উল্টো মাঝে মাঝে ফোন করে বিরক্তই করতাম বলে মনে হয়। কিন্তু আমি একটা অসম্ভব টান অনুভব করতাম। তাই যেদিন থেকে শুনলাম অবস্থা অবনতির দিকে, আমি ফোন করা বন্ধ করে দিয়েছিলাম।কারণ আমি বিশ্বাস করি সে আজও বেচেঁ আছে। আমি বিশ্বাস করি, ভগবান তার সবকিছু কেড়ে নিলেও তার হাসিটুকু কেড়ে নিতে পারেনি। সেই ক্ষমতা ভগবানের নেই বলেই আমার বিশ্বাস। আমি আজও যখন তার হাস্যজ্জ্বল ছবিটির দিকে তাকিয়ে থাকি আমার ভগবানের প্রতি ঘৃণা জন্মায়। আমার ঘৃণা জন্মায় ধর্মের প্রতি। আর আমার ঘৃণা জন্মায় নিজের প্রতি।

আমি তন্দ্রাকে কিছুই দিতে পারিনি, শুধু একদিন রাস্তায় সকলের সামনে একটা থাপ্পড় ছাড়া। সে আমাকে তবু ছেড়ে যায়নি তখন, ধরে রেখে ছিল বাচ্চাদের মতো। আমার কাছ থেকে একটা চিঠি পাবার আশায় প্রতি রাতে বায়না ধরতো। তবুও আমি লিখবো লিখবো করে মাস কাটিয়ে দিতাম। তার পাঠানো বেশিরভাগ চিঠির একটা অংশের লেখা অস্পষ্ট থাকতো। কলমের কালি ছাপিয়ে বুঝতে পারতাম সেগুলো ছিল তার কান্না মিশ্রিত লেখা। আমি তবুও লিখতাম না ... কারণ আমি জানতাম বাচ্চাদের সব আবদার মিটাতে নেই বা জানতাম সে আমাকে ছেড়ে কখনোই যেতে পারবে না। আজ হয়তোবা সে আর বাচ্চা নেই, তার বয়স হয়েছে ২৪ আর আমার ২২। ৬ বছর পর এসে মনে হচ্ছে সে আসলেই আমার থেকে ২ বছরের বড় ছিল, যে বিষয়টা কখনোই আমার মাথায় কাজ করতো না।আমি তাকে প্রায়শই বলতাম, "বিয়ার পর তোরে আমি মুসলমান বানায়া নাম দিমু হাজেরা খাতুন, বা জরিনা বেগম। " সে কিছু না বলে ফিক করে হেসে দিত। অই ভেবলা মার্কা হাসির শব্দ হয়তোবা আমি আর কখনোই শুনতে পারবো না। পারবো না কারণ তা শুনতে গেলে হয়তোবা তোমাদের জাত চলে যাবে। সমাজের লোকেরা ছি ছি করবে। তোমার ছোট বোনের আর হয়তোবা বিয়ে হবে না। তোমার বাবার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার হয়তো ধুলোয় মিশে যাবে। তার বদলে একজন সাব্বির আহমেদ বা তন্দ্রা বকসীর ফকিরা ভালোবাসা -বাসির কোরবানি দেওয়াই উওম। যা হয়তো তন্দ্রা বকসী মুখ বুজে মেনে নিলেও আমি হয়তোবা মেনে নিব না।

আমি হলাম হোমিওপ্যাথিক ওষুধের মতো। হোমিওপ্যাথি ঔষুধ যে এলাপ্যাথিক ঔষুধের বিপরীত নীতিতে কাজ করে তা কি জানা আছে তোমার? ধরো একটা এন্টিবায়োটিক ঔষুধ ভেঙ্গে যদি আমরা অর্ধেকটা খাই তাহলে তার কার্যকারীতা আমরা অর্ধেকই পাবো, কিন্তু হোমিওপ্যাথিতে তা হচ্ছে উল্টো। হোমিওপ্যাথিতে ঔষুধ যত বেশীবার তরলীকরণ করা হবে, ওই ডোজের পাওয়ার ততো বেশী হবে। হোমিওপ্যাথির অন্যতম উপকরণ হচ্ছে তুঝা। এক চিমটি উপকরণ নিয়ে হোমিওপ্যাথি ওষুধ তৈরি করা হয়; বারবার জলে বা স্পিরিটে দ্রবীভূত করে ঝাঁকিয়ে, তার থেকে দশভাগ নিয়ে আবার সেটাকে আরও তরল করে তারপর আবার…আবারও…এভাবে আরও দশবার, বিশবার করার পর যদি প্রথম পাত্রের পাওয়ারে জ্বরের মতো ছুটকা ফুটকা অসুখ ভালো হয় তাহলে সর্বশেষ পাত্রের ঔষুধ দিয়ে যক্ষার রোগ সারবে। আদৌ শেষ পাত্রে কোনো উপকরণ মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুজে পাওয়া যাবে কিনা তাতে অবশ্য আমার সন্দেহ আছে। যাইহোক শেষ বয়সে আমার হোমিওপ্যাথির দোকান দেওয়ার একটা ইচ্ছা অবশ্য আছে। নাম দিব 'তন্দ্রা হোমিওপ্যাথিক ঔষুধালয় ' এর নিচে লেখা থাকবে 'ড. সাব্বির আহমেদ ', আর তার নিচে লেখা থাকবে 'রোগী দেখার সময় : সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা, শুক্র -শনি বন্ধ'। শুধু রোগীদের দেখলেই তো চলবে না, নিজের স্বাস্থ্যের দিকেও তো খেয়াল রাখা দরকার। তাই শুক্র শনি বন্ধ। তো যা বলছিলাম, আমি হচ্ছি হোমিওপ্যাথিক ঔষুধের মতো। যতদিন যাচ্ছে তন্দ্রাহারা হয়ে যাচ্ছি। অবশ্য সবাই ভাবছে আমি স্বাভাবিকই আছি। আমার নিজেরও বেশিরভাগ সময় তা ই মনে হয়, আমি স্বাভাবিকই আছি। গত এক সপ্তাহ ধরে বোনের বাসায় আছি। একা থাকতে ভয় লাগে, তাই আছি আরকি। তাছাড়া প্রজেক্টের কাজ চলতেছে, জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১০ই ডিসেম্বর। বাসায় পিসি নাই, বোনের বাসার পিসিতে কাজ সারতেছি (তেছি, তেছ, গেছি, খাইলাম, দাইলাম টাইপের শব্দ ব্যাবহার করতেছি, যাতে মনের ভাব সঠিক ভাবে তোমার কাছে উপস্থাপন করবার পারি)। ১ তারিখে মানিকগঞ্জ যাইতে হবে প্রজেক্টের কাজে। ভাবছিলাম হাতের প্লাস্টার দেইক্ষা স্যারে কইবো, "থাক তোমার যাওয়ার দরকার নাই, গ্রুপের বাকি মেম্বারদের কে তোমার বিষয়টি বলে দেব। তারাই বাকিটা হ্যান্ডল করবে। ", ভাবছিলাম এই সুযোগে আমিও দেবদাস হউয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখবো। সমস্যা হইলো, স্যারেও এই ধরনের কথা বলে নাই, আর আমার ভিতরেও দেবদাসের কোন লক্ষণ দেখা যাইতেছে না। অনেক চেষ্টা করি মন খারাপ করে থাকার, তারপরও কিচ্ছু হচ্ছে না বাড়া। আমার এক বন্ধু আছে রিজভী যে তার স্বভাবসুলভ ফাইজলামির সুরে আমাকে কইলো সেদিন, "বাড়া, তোকে দেখে তো মনেই হচ্ছে না মা কালী তোর পাছায় ছ্যাঁকা দিয়েছে! একটু কান্নাকাটি কর বাড়া, পার্টি -সার্টি দে। গোলাপজলের আয়োজন করবি, তা না দাড়ি গোফ শান করে বসে আছিস।" আমি আসলেই স্বাভাবিক থাকি বেশিরভাগ সময়েই, ততক্ষণই যতক্ষণ কেউ না কেউ আমার পাশে থাকে। যখন ঘুমাতে যাই তখনই শুধু খুব খারাপ লাগে, ভিতরে একটা চাপ অনুভব করি। ঘুম আসতে চায় না, গলা ছেড়ে হেড়ে গলায় কাদতেঁ ইচ্ছে হয়, তাও পারি না। একসময় ঘুমিয়ে পরি ... ২৭ তারিখ পর্যন্ত প্রতিটা সকালে আমার ঘুম ভেঙ্গেছে আতঙ্কের সাথে। ধর মর করে উঠে বসতাম, বুক ধর ফর করতো খুব। বুঝতাম দুঃস্বপ্ন কারণে এই উঠে বসা, কিন্তু উঠার পর কি দেখেছিলাম তা মনে করতে পারতাম না। অনেকক্ষণ পর হঠাৎ করে মনে পরত, সাথে সাথেই শর্টনোট করে রাখতাম। গত দুইদিন ধরে তা আর হচ্ছে না, কারণ রাতে আর ঘুমাই না। ৫ টার দিকে ঘুমাতে যাই, আর উঠি বোনের চিল্লাচিল্লির আওয়াজে... জামাইয়ের সাথে নিত্যদিনের চিল্লাচিল্লি। তখন মনে হয়, না শালা ভালোই আছি। এই তন্দ্রা ছন্দ্রা চাঙ্গে উঠাইয়া নতুন উদ্দ্যমে যেগে উঠি। কিন্তু আমি জানি তা আমার দ্বারা সম্ভব না। এটা আমি যেমন জানি, তোমার দিদিও ঠিক তা ই জানে। ও প্রায়শই বলতো, "তোমার গুদ্দাটা অনেক বড়"। আমি বলেছিলাম গুদ্দা কি? ও বলল মানুষের যেই জায়গায় নাকি সাহস থাকে অই জায়গাটার নাম 'গুদ্দা '। (আমি কিন্তু ভাবছিলাম অশ্লীল কিছু)। সাহসের কথা বললে বলতে হবে আমার গুদ্দা আসলেই অনেক বড়। তা যে ঠিক কত বড়, তা হয়তোবা তুমি একদিন দেখতে পারবা । এখন দেখা যাক এই গুদ্দার কাজ ভালো কিছুতে লাগাতে পারি কিনা।

- ইতি বড় গুদ্দাওলা একজন ব্যর্থ প্রেমিক পুরুষ। (প্রেমিক পুরুষ লেখার পর মনে পড়ল, সাকিব খানের এই নামে একটা ছবি আছে। ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনী। অপু বিশ্বাস আর রুমানা আছে। সময় পাইলে দেখবা কিন্তু।)

এমিনেম উপখ্যান :শেষ পর্ব

আমার হায়াত আর কতদিন আছে আমি জানি না। উপরে যদি সত্যিই কেউ থেকে থাকে উনি হয়তোবা জানেন। আমি অবশ্য কমসে কম ১০০০ বছর সুস্থভাবে বাঁচতে চাই। বেচেঁ থাকার এই প্রবল ইচ্ছাটা দিন দিন ব্যাঙ্কের সুদের মতো চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ছে। গত একমাস ধরে মৃত্যুভয় আমাকে প্রায় জেকে ধরেছে। তাই ভাবছি একদিন যেহেতু মরতেই হবে, মরার আগে আমার পচ্ছন্দের জিনিসগুলোর একটা লিস্ট করে রেখে যাই। আমার যদি একজনও কাছের মানুষ থেকে থাকে, সে হয়তো এই জিনিসগুলোর মধ্যেই আমাকে খুজে পাবে। এই তাগাদা নিয়েই প্রিয় গান, মুভি, বই এর এক একটি লিস্ট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার বাসার পিসি আজ থেকে আরো ৪ বছর আগে নস্ট হয়েছে, তারপর আর পিসি কিনা হয়নি। ভার্সিটির গ্রেজুয়েশনও শেষ করলাম নিজস্ব একটা পিসি ছাড়া। টুক টাক এসাইনমেন্ট মোবাইলেই সেরে ফেলতাম, আর টার্ম পেপার, প্রোজেক্ট এর কাজ করেছি কখনো আমার বন্ধুর পিসিতে আবার কখনো বোনের বাসার পিসিতে বসে। আমার পছন্দের লিস্ট করার জন্য অন্যের কোন জিনিস ব্যবহার করতে মন টানছিল না, তাই মোবাইলে বসেই গত ১৫ দিন ধরে ৬ - ৭ টা লিস্ট বানাচ্ছি। এই লিস্টগুলোর মধ্যে আমার সব থেকে পছন্দের লিস্ট হচ্ছে আমার শোনা সাড়ে ছয় শো গানের মধ্য থেকে বাছাইকরা ২৫০ গানের লিস্টটা। এই গানের ডাউনলোড লিঙ্কগুলো মোবাইল দিয়ে খুজে বের করে আবার মোবাইলেই ওয়ার্ড ফাইলে এন্ট্রি করাটা হচ্ছে খুব ঝামেলার কাজ। তারপরও আমি ধর্য্য ধরে করে যাচ্ছি শুধুমাত্র আমার কিছু স্মৃতি রেখে যাবার আসায়।

যাইহোক আর প্যাচাল করতে চাচ্ছি না। আড়াইশো গানের লিস্ট এ আমি ইচ্ছা করেই আমার প্রিয় আর্টিস্ট এমিনেমের কোন মৌলিক গান রাখিনি। আমার কাছে মনে হয়েছিলো ওকে ঐ লিস্টে রাখাটা হবে ওর জন্য অপমানজনক :p। তাই এমিনেমের মৌলিক এবং সেরা ৮০ টি গান থেকে আমি বাছাই করে আমার পছন্দের ২০ টি গান নিয়ে আলাদা একটা লিস্ট করেছি। আজকের পোস্টটি তাই শুধুমাত্র এমিনেমের গান নিয়েই ...
.......................................................................
আমি কিন্তু র্‍্যাপ গান এমিনেমের ছাড়া শুনি না। এমিনেমের গান শুনি, কারণ আমি গল্প শুনতে পছন্দ করি। আপনি যদি এমিনেমের গান খুব মনোযোগ দিয়ে শুনেন তাহলে দেখবেন আপনি ওর জীবনের গল্পই শুনছেন ... এক একটি গান, এক একটি অধ্যায় ...তাই আপনি যদি এর আগে ওর গান পছন্দ নাও করে থাকেন বা না শুনে থাকেন, অন্তত ওর তিনটি গান লিরিকস্ সহ মনযোগ দিয়ে একবার হলেও শুনে দেখেন। আমার মনে হয় আমার মতো আপনারও ভুল ভেঙ্গে যাবে...
......................................................................
অস্কারের ইতিহাসে সর্বপ্রথম আর একমাত্র একাডেমী এওয়ার্ড পাওয়া র্‍্যাপ গান হচ্ছে Lose Yourself. ২০০৪ সালে Rolling Stone ম্যাগাজিন এই গানটাকে একবিংশ শতাব্দীর সেরা ৫০০ গানের মধ্যে ১১৬ তমতে নির্বাচিত করেছিল। সেই সময় ঔ লিস্টে এই গান ছাড়া আর মাত্র দুইটি গান ছিল পপ ধাচের! আমি গান নিয়ে অনেক ফ্যাক্টও আছে। তার মধ্যে একটা হচ্ছে, এই গান শুনে রাগবি খেলতে নামলে জিতার চান্স ৫০ ভাগ বেড়ে যায়, আর গাড়ি চলাকালীন সময়ে শুনলে এক্সিডেন্টের হাড় ৫০ ভাগ বেড়ে যায়! আমি বলবো, এই গান আপনার রক্তচাপ অবশ্যই বাড়িয়ে তুলবে। আমি ঠিক করেছে আমি ইন্টারভিউ বোর্ডে ঢুকার ঠিক আগ মূহুর্তে এই গান শুনে ঢুকবো। আর আপনি চাইলে মারামারি বা পিডাপিডি করার আগ মূহুর্তে শুনলেও ভালো কাজে দিবে :p
1 Lose yourself - Eminem link: http://www.hiphoplegendshow.com/songs/Eminem Lose Yourself.mp3
....................................................................

আমি lose yourself থেকেও বেশী যে গানটি শুনি তা হচ্ছে Beautiful। যাদের সদ্য ব্রেক আপ হয়েছে তারা এই গান শুনে ষোলো কলা উসুল করতে পারবেন। আমি ব্রেক আপের পরবর্তীকালীন ঝড়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, আমি জানি এই সময়ের উপলব্ধি আপনি কখনোই কাউকে বুঝাতে পারবেন না। এই গানে এটাই বুঝাতে চেয়েছে এমিনেম। গানের শেষ লাইনগুলো এমিনেম তার ছোট মেয়েকে উদেশ্য করে লিখেছে...
2 Beautiful - Eminem
Link: http://ihiphop.com/featuredAudio/9557.mp3
.......................................................................

Lighters গানটা আপনি লিরিকস্ সহ শুনলেও এমিনেমের সাথে তাল মিলাতে পারবেন না। তাছাড়া এটা কোলাবোরেট গান, তাই Bruno Mars এর পার্ফরমেন্স এই গানের প্রাণ বলা চলে।
3 Lighters - Eminem
Link: Click This Link
.......................................................................

আমি সদ্য হাতের রগ কেটেছিলাম। আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি, আমি যদি কাটার আগে একবার হলেও Till I Collapse গানটা শুনতাম আমি হয়তো হাতের রগটা কাটতাম না।
4 Till I Collapse - Eminem
Link: Click This Link
.......................................................................

এই গানটা সবার জন্য না। বিশেষ করে যাদের রক্তে বিলিরুবিন বেশী তারা এই গানটা শুনে উপভোগ করতে পারবেন।
5 The Way I Am - Eminem
Link: Click This Link
.......................................................................
এমিনেমের ফানি দিকটা ভালো ভাবে ধরার জন্য এটা একটা পার্ফেক্ট গান। তাছাড়া এই গানে এমিনেমের ইগোও উপভোগ করার মতো। এই গানে এমিনেম boy bands, Limp Bizkit, Dick Cheney, Lynne Cheney, Moby এর মতো আর্টিস্টদের অসন্মানজনক মন্তব্য করেছে। যা শুনতে আপনার হয়তো খারাপ লাগবে না :p
6 Without Me - Eminem
Link: Click This Link
.......................................................................
যারা এমিনেমের গান শুনে না, তাদের কাছেও space bound ভালো লাগার কথা। দেখেন আপনার লাগে কিনা।
7 Space Bound - Eminem
Link: Click This Link
.......................................................................
এমিনেমের টপ লিস্টের ২ নাম্বার পজিশনে এই গানটা আছে।
8 Not Afraid - Eminem
Link: Click This Link
.......................................................................
এই গানটার পুরোটাই এমিনেম তার মেয়ের জন্য গেয়েছে। মিউজিক ভিডিও সহ দেখলে ভালো লাগা উচিত।
9 When I'm Gone - Eminem
Link: 003.audiopoisk.com/get-server/05091c0318001b0704081503000905100213030100050803505405500e0151020c5401575801095300095404070854010009/6647014/MTM1NjAwNzIwMjo0NzUxNzA3YzVhNzU0MTA2MTkwNTAyMTkwZjFkMDAwNTFjMDEwNTRmNmE1ZDVlNDY1ZTA0MDUwMjA1MGIxZTA4NzIwZjFlNDk0YjU3NWY1OTUyNWY1ZTVlNWI2ZTU4NTI1NjVmNTk1MjE5NWY1MzUxNTUxNzQzNGM6cHJvbmljaGtpbl9sZW9uaWRAbWFpbC5ydTo=/0/138663/MTE5LjMwLjQ1LjEwNzEzODY2M29zNmlmM2VvOW9zNmlmM2VvOQ==/Eminem - When I'm Gone (audiopoisk.com).mp3
.......................................................................
আমার মনে হয় এই গানের পরিচয় না দিলেও চলবে, অধিকাংশ ইয়াং জেনারেশন এই গানের প্রথমার্ধ রিংটোন হিসেবে ব্যবহার করতে চাইবে। এই গানের পার্ট টু ও আছে, অরিজিনাল ভার্সনের নিচেই তার লিংক দেওয়া আছে।
10 Love the way you Lie - Eminem
Link: http://dl.soundowl.com/4224.mp3
Instrument: http://ftp.luoo.net/radio/radio198/11.mp3
Part 2: Click This Link
.......................................................................
Mockingbird ও এমিনেম তার মেয়েকে নিয়ে গেয়েছে। উপভোগ্যের চেয়ে উপলব্ধি করার মতো গান। অবশ্যই লিরিকস্ সহ শুনবেন।
11 Mockingbird - Eminem
Link: Click This Link
Instrumental: Click This Link
.......................................................................
এমিনেমের টপ লিস্টেড ৬৯ তম গান এটি। কোলাবরেটেড গান এটি, 50cent, Dr. Dre এর পার্ফরমেন্স উপভোগ্য।
12 Crack a bottle - Eminem
Link: Click This Link
.......................................................................
গানের ইন্ট্রো অসাধারণ, Dido এর প্রশংসা না করে পারবেন না। এমিনেমের অডিও ইন্ডাস্ট্রিতে আসার পিছনে তার প্রিয় আংকেল রুনির অবদান ছিল। আংকেল রুনির সুইসাইডের পর এমিনেম মুর্ষে পরেছিল, তাই আপনি এমিনেমের বাম হাতের উপরে 'Ronnie R.I.P ' ট্যাটু দেখতে পাবেন। এই গানে রুনিকে সে এক জায়গায় মেনশন করেছে। তাছাড়া আপনি ১.৫ ঘন্টার একটা মুভির পুড়াটাই ৬ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডে উপভোগ করবেন এই গানে। সব মিলিয়ে গানটি অসাধারণ একটি Rap সং। আর এ জন্যই হয়তো Q. ম্যাগাজিন এই গানকে সর্বকালের সেরা ৩য় Rap গানের উপাধি দিয়েছে, আর Rolling Stone ম্যাগাজিন একবিংশ শতাব্দীর সেরা ৫০০ গানের মধ্যে ২৯০ স্থানে রেখেছে। আমি বলবো, আপনার একটি মুভি হলেও শোনা উচিত আর মুভির নাম হচ্ছে, Stan!
13 Stan - Eminem
Link: http://slimgarynadege.free.fr/.zic/Eminem - The Marshall Mathers Lp/03 - Eminem - Stan (Featuring Dido).mp3
.......................................................................
Bully কি জানেন তো? Bully হচ্ছে সেই ব্যক্তি যে স্কুলে থাকাকালীন সময়ে আপনার পিছনে লেগে থাকতো। এই গান এমিনেমের বুলিকে নিয়ে, যে কিনা এই গান রিলিজ হউয়ার পরেও তাকে শান্তিতে থাকতে দেইনি!! মামলা ঠুকে দিয়েছিল তার নামে!
14 Bully - Eminem
Link: Click This Link
.......................................................................
এই গানে এমিনেমের দুঃখ গাথা ফুটে উঠেছে। আংকেল রুনিকে এখানেও পাবেন আপনারা।
15 Cleaning out my Closet - Eminem
Link: Click This Link
.......................................................................
গানটা ভালো :p। মেয়েদের সন্মানিত করা হয়েছে ভালোভাবে :p
16 Superman - Eminem
link: Click This Link - Eminem Superman.mp3
.......................................................................
নিচের গান গুলোতে বলার মতো কিছু খুজে পাচ্ছি না। আমার কাছে ভালো লেগেছে এতোটুকুই বলতে পারি...
17 No love (Feat. Lil Wayne) - Eminem
link: Click This Link).mp3
18 The real Slim Shady - Eminem
Link: Click This Link
19 Sing For The Moment - Eminem
Link: Click This Link
20 My Name Is - Eminem
link: Click This Link
21 Cinderella Man - Eminem
Link:
Click This Link
....................................................................
আজ এ পর্যন্তই, বেচেঁ থাকলে আবারও হয়তোবা আপনাদের বিরক্ত করবো ... :)
সে পর্যন্ত ভালো থাকবেন এবং অবশ্যই সুস্থ থাকবেন ... not lose yourself, be yourself.
.......................................
.......................................

ত্রিভকালের প্রান্তরে : 'গু' সমাচার ও একজন আবুলের গল্পের প্রারম্ভিকা

১৮ই নভেম্বর ২০১২, রাত তখন বাজছিল ৪ টার কাছাকাছি, হয়তোবা আরো বেশীও হতে পারে। আমি বাথরুমে যাবার আগে সময় দেখিনি, দেখা উচিত ছিল। তাহলে আপনাকে পার্ফেক্ট সময়টা বলতে পারতাম। সময় জানাটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিলো, কারণ তার কিছুক্ষণ পরেই আমি তন্দ্রাদের বাসার দূর্গন্ধময় বাথরুমে গিয়েছিলাম। আপনি হয়তো ভাবছেন, বাথরুমে যাওয়া নিয়ে কাহিনী করছি কেন আমি?

কাহিনী করছি কারণ সবার জীবনেই কাহিনী আছে, প্রত্যেকটা মূহূর্তের এক একটি কাহিনী। এক একটি ফ্রেম নিয়ে এক একটি কাহিনী। সিঙ্গেল ফ্রেমের কাহিনী যেমন আছে, মাল্টিফ্রেমেরও আছে। 'পাদ' মারা যদি সিঙ্গেল ফ্রেমের হয়ে থাকে তাহলে পায়খানা করা হচ্ছে মাল্টিফ্রেমের কাহিনী, প্রথমে প্যান্ট খুলো (বেল্ট থাকলে আগে বেল্ট, আর পাঞ্জাবি পড়া থাকলে আগে পাঞ্জাবি), তারপর বদনা হাতে নিয়ে পজিশন করে বসে পড়া। আমি আবার হাই কমোডে হাগতে পারি না, মানে ইংলিশ কমোডে। অনেকের যেমন উচ্চতা ভীতি, মাকড়শা ভীতি, তেলাপোকা ভীতি আছে , আমার তেমন হাই কমোড ভীতি আছে। মেডিকেল সায়েন্সে হয়তো এই সংক্রান্ত কোন ফোবিয়া থাকলেও থাকতে পারে, 'হাইকমোডভিয়া',বা 'কমডোফোবিয়া '। অসম্ভব কিছু না, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে 'Taboo ' বা ডিসকোভারি চ্যানেলে 'sqamish ' এর কোন না কোন পর্ব দেখে থাকলে আমার হাই কমোড ভীতি আপনার কাছে মোটেই আশ্চর্যজনক মনে হউয়ার কথা না। আমার হাইকমোডোভিয়া নিয়েও হয়তো কোন একদিন এপিসোড দেখাতে পারে। হয়তোবা আমাকেই শো এর হোস্ট পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলবে,

"ইনি হচ্ছে 'সাব্বির আহমেদ ', যিনি কিনা গত ২২ বছর ধরে 'হাইকমোডোভিয়া ' নামক অত্যন্ত জটিল এবং হাস্যকর রোগে ভুগছে। যার কারণে হাইকমোডে বসা মাত্র উনার পোন্দের গু মাথায় উঠে যায়, হার্ট বিট বেড়ে যায়, হাত পা ঘামাতে শুরু করে, ব্লাড পেশার বেড়ে যায় কিন্তু তারপরও ...তারপরও উনার পোন্দে দিয়ে গু বাহির হয় না ..."

..অসম্ভব কিছু না। এই ভীতি থাকার কারণে আপনি চাইলে আমাকে 'গ্রামের অশিক্ষিত চাড়াল' বলে গালিও দিতে পারেন, আমি কিছুই মনে করবো না। আপনি হয়তো রাজকীয় ভাবে বসে জ্ঞানী ভাব ধরে হাগতে বেশী পছন্দ করলেও করতে পারেন, তবে আমি করি না। 'জ্ঞানী ভাব ধরা' বলতেই মনে পড়লো একজনের কথা। আমাদের সাথে ঢাকার শাহজাদপুরে এক ছেলে থাকতো, নাম সাইফ। সে আবার সকালবেলার প্রাতরাশের পর খবরের কাগজটা নিয়ে হাইকমোডওলা বাথরুমে ঢুকতো, আর বের হতো পুরো খবরের কাগজ শেষ করে। এর মধ্যে আমরা মাঝেমধ্যে ভুলেও যেতাম, বাথরুমে কেউ কি আসলেই আছে, নাকি নাই! কারণ কোন সাড়াশব্দ পেতাম না, এমনকি পানি খরচের শব্দও না! প্রথমআলো পত্রিকায় নূন্যতম ২৪ পৃষ্ঠা থাকে (ক্রোড়পত্র বাদে)। একমিনিট করে প্রতি পৃষ্ঠা পরলেও ২৪ মিনিট লাগবে। এখন সাইফ যদি প্রথম দলা ২ মিনিটে আর শেষ দলা ৫ মিনিটে বের করে, তাহলে তার পায়খানা ৯ মিনিটের মধ্যে শেষ হয়ে যাওয়া উচিত। আর বাকি ১৫ মিনিটে সে যদি পানি খরচ না করে পেপার পড়েই যায়, তাহলে তার গুয্যদ্বারে লেগে থাকা গু শুকিয়ে যাওয়ার কথা। আর আপনি যদি সায়েন্সের স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন, আপনি নিশ্চয়ই জানেন গু কি কি উপাদান দিয়ে গঠিত হয়ে থাকে। তাই সাইফের গু যদি বাদামি রঙ্গের হয়ে থাকে তাহলে bile আর bilirubin এর কারণে mucus আস্তরণ তৌরি যাবে। যার ফলে গুয্যদ্বারে লেগে থাকা গু ১৫ মিনিটে নরম থেকে কঠিন হয়ে যাবে, আর তা তখন পানি দিয়ে হালকা ঘষা দিলেও উঠবে না। তখন যা করতে হবে তা হচ্ছে, পানি দিয়ে প্রথমে হালকা ভাবে ভিজিয়ে রাখতে হবে আর তার দুই মিনিট পর নরম হয়ে গেলে গুয্যদ্বার পরিষ্কার করতে হবে। আপনি হয়তো ভাবছেন আমি গু নিয়ে এতো ব্যস্ত হয়েছি কেন। ব্যস্ত হতে হয়, 'গু ' গু বলে আমি মোটেই তাকে ছোট চোখে দেখি না। মানুষের হাত দেখে যেমন ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে পামিস্টরা, আমি তেমন গু দেখে একটা মানুষ সম্পর্কে অনেক কিছুই বলতে পারি।আপনি হয়তো ভাবছেন আমি গুলপট্টি মারছি, বা ফাজলামো করছি। ...আমি মোটেও গুলপট্টি মারছি না, আবার ফাজলামোও করছি না।

মানুষের গু ছয় রকমের হয়ে থাকে। রকম না বলে ছয় রঙ্গের বলাটা মনে হয় ঠিক হবে। আর এসব রং খেয়াল খুশী মতো হয় না বরং নির্ভর করে মানুষের খাদ্যাভ্যাস, চাল -চলন, আর স্বাস্থ্যের উপর। অর্থাৎ একজন ব্যাক্তি কিভাবে জীবনযাপন করছে তা সহজেই ফুটে উঠে তার গুয়ের মাধ্যমে।

বেশিরভাগ মানুষের গু সাধারণত হালকা থেকে গাড় বাদামি রঙ্গের হয়ে থাকে। তাই আপনার গুয়ের রং যদি বাদামি বর্ণের হয়ে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে আপনি একজন আমজনতা। আমজনতা হউয়া খারাপ কিছু না, বাদামি গু ভালো স্বাস্থ্যেরও ইঙ্গিত করে থাকে। কারণ মৃত লাল রক্তের কোষের থেকে নির্গত বিলিরুবিন আর বাইলের সাথে মিশে বাদামি বর্ণ ধারণ করে থাকে এই গু। ইনফেকশন দ্বারা আক্রমণ হয় না বিধায় কোষ্ঠের বর্ণ বাদামি হয়।আর এই ধরণের গু মধ্যম ধাচের শক্ত হয়ে থাকে মুকাস আস্তরণের কারণে। তাই কারো গু যদি আপনি বাদামি বর্ণের দেখে থাকেন, তাহলে বুঝবেন ঐ ব্যক্তির চালচলন সাধারণ গোচের, মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির খেটে খাওয়া মানুষ। যার গু যত বেশী গাড় রঙ্গের হবে সে ততটাই সাধারণ।

কোষ্টের বর্ণ হলুদ হয়ে থাকে এক প্রকার সংক্রামকের কারণে, গিয়ার্ডিয়াছিছ হচ্ছে ঐ সংক্রামকের নাম। গিয়ার্ডিয়াছিস শব্দটা আসছে গিয়ার্ডিয়া থেকে, যা হচ্ছে একপ্রকার এনারোবিক প্রোটোজোয়ান পরজীবী। এই পরজীবী যতবেশী সংক্রামক হবে গু ততই হলুদ হবে। আর খুব বেশী বেড়ে গেলে ডায়রিয়া হউয়ার চান্স ৮০ ভাগ। তাই আপনি যখন দেখবেন কারও গুয়ের রং হলুদ, আপনি বুঝবেন ওর শরীরে ফ্যাট আছে, জীবনযাপন অনিয়ন্ত্রিত, লোভী, আবেগপ্রবণ আর বাচাল গোছের হয়ে থাকে। পার্টি পছন্দের দিক থেকে এরা বেশিরভাগ বিএনপির সাপোর্টার হয়ে থাকে। গু হলুদ হউয়ার আরেকটি প্রধান কারণ হল 'গিলবার্ট সিনড্রোম '। এই অবস্থা সাধারণত দেখা যায় পান্ডুরোগ এবং হাইপারবিলরেবিনিয়ার সময়, যখন রক্ত সঞ্চালনের সময় বিলিরুবিনের উপস্থিতি খুব বেশী বেড়ে যায়। অর্থাৎ যাদের গু হলুদ হয়ে থাকে তাদের ভেবেচিন্তে কাজ করার ক্ষমতা কম থাকে। 'ধুম ধাম, পুটকি উধাও' নীতিতে এরা বিশ্বাসী হয়ে থাকে। যদিও আমি বি.এন.পির সমর্থক নই,তবুও আমার গু কিন্তু বেশিরভাগ সময় হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে।

গু কালো বা লাল রঙ্গেরও হতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে লাল রক্তের কোষ নাড়িভুড়িতে উপস্থিত থাকার কারণে এটা বেশিরভাগ সময় হয়ে থাকে। নাড়িভুড়িতে দীর্ঘক্ষণ থাকার কারণে এই কোষগুলো ভেঙ্গে ডাইজেস্টিভ এনজাইমে রূপান্তরিত হতে পারে না। এটাকে বলে মেলিনা, এবং এটা সাধারণত হয়ে থাকে মানবদেহের উপরিভাগ ডাইজেস্টিভ রাস্তায় রক্তপাত হউয়ার কারণে। এই রক্তপাত আবার বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে, হতে পারে সেটা পেপটিক আলসার থাকার কারণেই। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে, আপনার গ্যাস্ট্রিকের বড়সড় সমস্যা আছে কিনা। যদি থেকে থাকে তাহলে আপনার লাল বা কালো গু হাগার একটা অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই যদি কারো গু এই বর্ণের হয়ে থাকে, বুঝবেন সে চরম মাত্রায় হতাশাগ্রস্থ। এই পৃথিবী আর তাকে চায় না। এই ধরনের ব্যক্তিরা হালকা গড়নের হয়ে থাকে, ভাবুক স্বভাব এদের মধ্যে চরমভাবে বিরাজমান। এদেরকে আপনি ৩ টাকা দামের সিঙ্গারা খাওইয়া ৩০০০ টাকার কাজ সহজেই করিয়ে নিতে পারবেন। এই গোত্রের বেশিরভাগ লোকের প্রথম পছন্দ 'দেশি গাঞ্জা'। আর 'চাইনিজ মোবাইলের ' প্রতি এরা কিছুটা দূর্বল হয়ে থাকে। সব থেকে মজার বিষয় হচ্ছে এদেরকে দেখে অনুমান করা সহজ যে এরা এই গোত্রের, যা অন্য গোত্রের ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত কঠিন। আবার খাদ্যভাসের কারণেও কিন্তু গু লাল বর্ণের হয়ে থাকে, যেমন লালশাক, রু -আফজা বা অধিক পরিমাণে রেড মিট খাওয়ার কারণে। মূল পার্থক্য হচ্ছে আপনি গু দেখলেই বুঝতে পারবেন, কে গোত্রের কারণে আর কে ই বা রু -আফজার কারণে।

গু কালো বর্ণের হয়ে থাকে সাধারণত ঔষুধ সেবনের কারণে। কালো গু গঠন হয়ে থাকে খাদ্যে আয়রণের আধিক্যের কারণে। আমরা যে ভিটামিন খাই বা আয়রন ট্যাবলেট, এই আয়রন আমাদের বর্ণিল গু কে কালো বানিয়ে দেয়। কালো গু খারাপ না। তারাশঙ্কর 'কবি ' উপন্যাসে লিখেছেন,

"কালো যদি মন্দ তবে কেশ পাকিলে কাঁদ কেনে?"

ঔষুধ সেবন ছাড়া আপনি যদি কালো গু হেগে থাকেন তাহলে বুঝবেন আপনি একজন সুঠাম দেহের অধিকারী। কালো গুয়ের পুরুষ ব্যাক্তিদের ছেলে সন্তান হউয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে। ফাউ কথা বলছিনা, লজিক থেকেই বলছি। 'Y' ক্রোমজম গঠনে আয়রণের বিশেষ ভূমিকা আছে। তাই যার হবে কালো গু তার ছেলে শিশু হউয়ার সম্ভাবনা অইত্যাধিক। কালো গুয়ের মানুষেরা সাধারণত দৃড়চিত্তের হয়ে থাকে, কথা কম বলে, আর আবেগের চাইতে মাথা খাটিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে বেশী। এদের গায়ের রং কালো বা উজ্জ্বল শ্যামলা হউয়ার কিছুটা সম্ভাবনা থাকে। এরা মিথ্যাচার সাধারণত খুব একটা করে না, আর করলেও সেই মিথ্যা আপনি সহজেই ধরতে পারবেন।

কোষ্টের বর্ণ নীল, রূপালী, অথবা সবুজ বর্ণেরও হতে পারে। এই তিন বর্ণের গু আমার মনে হয় না আপনি ইহকালে দেখিবার সুযোগ পাইবেন। বড়জোর গ্রেপ সোডা খেয়ে গুয়ের বর্ণ নীলাভ করার একটা চেষ্টা করতে পারেন মাত্র। তা ও মনে হয়না কাজে দিবে। তাছাড়া কারও যদি থেলিয়াম পয়জনিং এ ভুগে Prussian Blue প্রয়োগের কারণে কোষ্টের বর্ণ নীলাভ হতে পারে। তবে হ্যাঁ, আপনি যদি অত্যাধিক পরিমাণে চিনি খেতে পারেন তাহলে ডাইজেস্টিভ এরিয়াতে Bile এর মাত্রা বাড়াতে তরল সবুজাভ গু হাগার এক অপূর্ব মূহুর্ত অবলোকন করার এক অনন্য সৌভাগ্য আপনি অর্জন করতে পারেন। এইসব বর্ণের গু আমার সচক্ষে দেখার সুযোগ হয়নি, তাই এদের ব্যাপারে আমি অজ্ঞই বলা চলে। তাই এই গোত্রের মানুষ কি রকম হবে, তা বলা আমার জন্য অসম্ভব।

আমি আগেই বলেছি, অসম্ভব কিছুই না। আপনি যে বিরক্ত হয়ে আমার লেখা পড়া বন্ধ করে দিয়েছেন তাও অসম্ভব না। আবার হয়তো করার মতোই কিছুই নাই দেখে হয়তো কান চুলকাতে চুলকাতে পড়ে যাচ্ছেন ভ্রু কুচকিয়ে, এবং চোখদুটো আধা খুলে। চোখদুটো আধা খুলে রেখেছেন কারণ এখন আপনি আরাম পাচ্ছেন। মানুষ যখন জাগ্রত অবস্থায় আরাম পায় তখন তার চোখদুটো আধা খোলা থাকে আর আধা বন্ধ থাকে। এটা আমার কথা না, এটা ডক্টর বেঞ্জামিনের কথা। তাই আপনি যেহেতু এখন কান চুলকাচ্ছেন তাই আপনার চোখ আধা খোলা থাকাটাই স্বাভাবিক। একটা পরামর্শ দিচ্ছি, কান চুলকানি বন্ধ করার পর যেটা দিয়ে চুল্কাছিলেন তা একটু নাক দিয়ে শুকে দেখবেন। এতে ছি ছি করার কিছুই নাই। আমরা আসলে কান থেকে যে খৈল বের করি তাকে যদি আপনি ময়লা বলে ছি ছি করেন তাহলে এটাকে অপমান করা হবে। এগুলো আসলে হচ্ছে একপ্রকার মোম যা আমাদের কানকে বাহিরের বাতাস আর পানি থেকে মুক্ত রাখে। আর এই খৈ লে কিন্তু এলকোহলও থাকে। তাই বলছিলাম শুকে দেখার জন্য। এলকোহলের ঘ্রাণও কিন্তু নেশা তৌরিতে সহায়ক। একবার শুকে দেখবেন কি?

যাইহোক আমি এখানে কান চুলকানি বা গু নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক করার জন্য আসি নাই। আমি আসছি আমার জীবনের কাহিনী শোনানোর জন্য... একজন আবুলের কাহিনী ...

কাহিনী শুরুতেই একটু রস মার্কা কথা ঢেলে দিলে ভালো হয়, আপনার আগ্রহ জিইয়ে রাখতে পারবো। (একটা জিনিস লক্ষ্য করেছেন, মানুষ যে খুব আজব প্রাণী! জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত চেষ্টা করে যায় অন্যের আগ্রহ ধরে রাখার।জন্মের পর পরই কান্না জুড়ে দেয় সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য, আবার মৃত্যুর পরও সবাইকে কাঁদিয়ে সেই আগ্রহ কিছুক্ষণের জন্য হলেও জিইয়ে রাখে। বড়ই আজব প্রাণী...) এখন আমার আগ্রহ ধরে রাখার রসের কথাটা হচ্ছে, আমি গত ৭ বছর আমার বড় বোনের বান্ধবীর সাথে 'পলান টুক টুক ' খেলছি। প্রেমিকের ভাষায় যাকে বলে 'প্রেম ', আর মুরুব্বীদের ভাষায় যাকে বলে 'নষ্টামী '। আপনি হয়তো ভাবছেন এতে রসের কি হইলো!!! ভাবতেই পারেন, ভাবনা আপনার তয় তালগাছ আমার। কারণ সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১৫-২৭ বছরের পুরুষদের ৬৭ শতাংশ তার থেকে বয়সে বড় মেয়েদের বা বেডিদের প্রতি আগ্রহ বেশী থাকে। মেয়েদের বেলায় বয়সের গন্ডিটা আবার একটু কম, তবে শতাংশের দিক দিয়ে বেশী। ১১-১৯, এই বয়সের মেয়েরা নাকি মাত্রাতিরিক্ত বয়সের পুরুষদের ব্যপারে 'বিশেষভাবে ' আগ্রহী হয়ে থাকে। বাপ - চাচা বয়সী লোকদের কাছে নাকি নিজেদের দেহ সপে দিতে কুন্ঠিত বোধ করে না! অভিজ্ঞতা বলে কথা... সপে তো দেওয়া যেতেই পারে। সাম্প্রতিক সময়ের প্যান্থারের এড দেখে তো মনে হয়, তারা ইতিমধ্যেই 'আসল পুরুষের ' মেডেল পেয়ে গেছে। যাইহোক, বেশিরভাগ পুরুষের মতো আমারও ম্যাচিউর ওমেন এক নম্বর পছন্দ। যদিও তন্দ্রার সাথে রিলেশন হউয়ার সময় এতো কিছু মাথায় ছিলো না। তখন মন ছিল নরম ভেজা মাটির মতো, আর নরম মাটি পাইলে তো বিলাইও নাকি হাগে!!!

আরেকটু রস ঢালি, আমি আবার অল্পতে বিশ্বাসী না। ঢালবো যখন বোতল উপুড় কইরাই ঢালবো। তাছাড়া কাষ্টমারও তো ধরা লাগবে। আমার তো মনে হয় কান চুলকানো যাদের শেষ তারাও হয়তো গেছে গা। যাইহোক লেখা যখন শুরু করছি তখন থামলে মান সন্মানের ব্যপার। মান -সন্মান আবার অনেক বড় জিনিস, আর নিজের কাছে নিজের মান সন্মান হাড়ানোও লজ্জার বিষয়। যাই হোক যে কথা বলছিলাম, তন্দ্রা আমার থেকে বড় হবার পাশাপাশি আরেকটা বিষয় আছে, যা আপনাদের সুড়সুড়ি একটু হলেও দিতে পারে। আর তা হচ্ছে, সে হিন্দু আর আমি মুসলিম। হিন্দু মেয়েদের যে মার্কেটে ডিমান্ড আছে সে বিষয়টা হয়তো আপনি কিছুটা হলেও ওয়াকিবহাল। কোন ক্ষেত্রে ডিমান্ড, তা হয়তো সহজেই বুঝতে পারছেন। তাই আর খোলসা করলাম না। যদিও আমি তাসলিমা নাসরীনের মতোই জানি, এখানে অনেকেই আছেন যারা সুশীল সমাজের মুখোশ পড়ে রসময় সাহিত্য চর্চা করতে পছন্দ করেন। কথা হচ্ছে এই বিষয়ে আমারও কোন আপত্তি নেই বা থাকা উচিত নয়। আরে ভাই শারীরবৃত্তীয় চাহিদা তো শরীরেরই একটি অংশ, নাকি। এটা নিয়ে এতো মাতামাতির কি আছে!! হিন্দু ধর্মে কামশাস্ত্র তো ধর্মেরই একটি অংশ, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে পাগান অনুসারীদের মতে স্ত্রী -লিংগম হচ্ছে একটি সর্গীয় ব্যপার। আর বিজ্ঞানীদের মতে জাগ্রত অবস্থায় মানুষ নাকি একমাত্র একটি কাজই পূর্ণ মনোযোগ, একনিষ্ঠ, আন্তরিক, এবং আনন্দের সহিত করতে পারে, আর তা হচ্ছে 'সংগম '। আর এই সংগমের কায়দা কানুন হিন্দু মেয়েরা জানে বিধায় তারা তা স্বতঃস্ফূর্তভাবে করতে পারে। যার কারণে উপমহাদেশে হিন্দু মেয়েদের এতো ডিমান্ড। যাঃ শালা বলেই তো দিলাম মুখ ফসকে!!!

যাইহোক সংগম স্বর্গীয় সুখ হোক আর নরকীয়, হিন্দু মেয়েদের ডিমান্ড থাকুক আর না থাকুক, আর আপনারা বিশ্বাস করেন আর না ই বা করেন, তন্দ্রার সাথে আমার গত ৭ বছরে অনেকবার রুমডেট হলেও আমরা কিন্তু সেই স্বর্গীয় সুখ উপভোগ করিনি একটি বারের জন্যও ... না আমি নৃপুংশক নই, আবার আমি ধজভঙ্গতেও ভুগছি না, এবং আমি সাধু গোত্রীয় মানুষও নই। আমি হাজি বংশের ছেলেও না, তন্দ্রার বাবাও কোন পুরোহিত নয়। আমি রবিন্দ্রনাথের চাইতেও এমিনেমের গালিগালাজ পূর্ণ গান শুনতে বেশী ভালোবাসি, তন্দ্রাও ইমরান হাসমির ছবি দেখতে পছন্দ করে। আমি গডে বিশ্বাসী না, যখন যা মন চায় তখন তা ই করি। তারপরও গত সাত বছরে আমরা একবারের জন্য হলেও চেষ্টা করিনি ... পাগানদের ভাষায় যা হচ্ছে স্বর্গীয় সুখ, আর আপনাদের ভাষায় যা হচ্ছে 'নষ্টামি '...একটি বারের জন্যও না... আর ঠিক এরকমই ছিল আমাদের ৭ বছরের ভালবাসা। 'ছিল ' বলছি কারণ এখন আর তা অবশিষ্ট নেই।

আমি বাথরুমে ঢুকেছিলাম ভোর ৪ টা বাজার কিছুক্ষণ আগে... মুখ ধুয়ে শেষ বারের মতো নিজেকে আয়নায় দেখছিলাম ... দাড়ি গোফ বড় লাগছিলো খুব, উপরের ঠোঁট দেখতে পাচ্ছিলাম না, চুলগুলো ছিলো এলোমেলো .. তেল না দেওয়ার কারণেই কিনা জানি না, লালচে লালচে দেখাচ্ছিল ... আর চোখগুলোর নিচে কালো কালো দুটি ছোপ.. তারপরও খুব শান্ত ছিলো চোখজোড়া ... মানিব্যাগ থেকে ব্লেডটি বের করেছিলাম ঠিক তারপরেই.. ব্লেডের উপরে লেখা 'Sharp'। ব্লেডটা কিনেছিলাম রাত সাড়ে দশটায়। তন্দ্রাদের বাসায় যাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে, বাস থেকে নেমেই। ব্লেড কিনার পর হাতে নিয়েই মনে হলো, ২২ বছরের জীবনে এইটাই হচ্ছে আমার কিনা প্রথম ব্লেড। আমি ব্লেডটা ম্যানিব্যাগের সাইড পকেটে রেখেই ফোন দিয়েছিলাম তন্দ্রার বাবাকে। রাত তখন বাজে ১০টা ২০.. আমি বললাম, "স্লামালাইকুম...আমি চান্দিনায় এসেছি"। কান্নাতাড়িত কন্ঠে নাক টানতে টানতে তিনি আমাকে বললেন, "কোথায় তুমি? "

- আমি পালকি সিনেমা হলের সামনে। আজকে অনেক রাত হয়ে গিয়েছে, আমি আগামীকাল সকালে আপনার সাথে দেখা করতে চাচ্ছি।

- রাতে কোথায় থাকবা তুমি?

- আমি আমার ব্যবস্থা করে নিয়েছি, আপনি এ বিষয়ে চিন্তিত না হলেও চলবে।

তিনি বিড় বিড় করে কি যেন বললেন, তারপর কলটি কেটে দিলেন। আমি আমার রাতের থাকার ব্যবস্থা করে নিয়েছিলাম .. বন্ধ করা একটি দোকানের শিকল দিয়ে বেধেঁ রাখা বেঞ্চের উপর। খুব ক্ষিধে লাগছিল তখন, সারাদিনে এক বেলা খেয়েছিলাম সেদিন। আর তার থেকেও বেশী লাগছিল পানির পিপাসা। দোকানের পাশেই একটি টিউবওয়েল ছিল, সম্ভবত সেই পানির আর্সেনিকের মাত্রা ১০ এর কাছাকাছি হবে। আমি মুখে দিতেই মনে হলো আমি লোহার গুড়া মিশানো পানি মুখে দিয়েছি। ঐ পানি দিয়ে হাত - মুখ ধুয়েই ঢক ঢক করে পানি খেতেই মোবাইল ২য় বারের জন্য বেজে উঠেছিল। এবার কল করেছে তন্দ্রা, যার কারণে আমার এতোদূর ছুটে আসা। যার প্রতিটি কথার পরের কথা আমি জানতাম কি হবে। যার কাছে গেলেই আমি একটি অদ্ভুত ঘ্রাণ পেতাম, চোখ বন্ধ করে বুঝার চেষ্টা করতাম ঘ্রাণটা কিসের .. যাকে একা পেলেই দুহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরতাম খুব জোড়ে, দম নাকি তার বন্ধ হয়ে আসতো তারপরও ছাড়তাম না... যে কিনা অন্য কোনো মেয়ের ফিগার দেখে আমার উত্তেজিত হবার কথা বলার আগেই আমার গালে কষে সবার সামনে থাপ্পড় দিয়ে দিত। আমি তখন আশপাশে কেউ দেখছে কিনা নিশ্চিত হয়ে অই মেয়ের ফিগারের বাকি আলাপটুকু নিরাপদ দুরত্ব থেকে শেষ করার চেষ্টা করতাম। যে কিনা তার মন মতো কথায় সায় না দিলেই 'থু 'করে একদলা থুতু দিয়ে দিত আমার মুখে অথবা গালে.. কোন কোন সময় আমার গায়ে আর মাঝে মাঝে আসেপাশে কেউ না থাকলে একেবারে আমার মুখের ভিতরে। আরো একজায়গায় থুতু অবশ্য দিয়ে দিত মাঝে মাঝে, তা আমি আর বলতে চাচ্ছি না। না হয় এই লেখা আবার রসময় গুপ্তের সাহিত্যে পরিণত হয়ে যাবার আশঙ্কা আছে। যাইহোক তার থাপ্পড়ের চাইতেও এই থুতু দেওয়ার ভয়ে আমি তটস্থ থাকতাম বেশিরভাগ সময় কিনবা অপেক্ষা করতাম ঠিক এটার জন্যই...

টিউবওয়েলর পানি মুখ থেকে মুছতে মুছতে ভাবছিলাম এই মেয়ে শেষ আমার গায়ে থুতু মেরেছিল ১৩ই নভেম্বর, আর আজ ১৭ই নভেম্বর ... ৫ দিন ... মাত্র ৫ দিনে আমার জীবনের সবথেকে সুন্দরতম অধ্যায় শেষ হয়ে যাচ্ছে ... মাত্র ৫ দিন ...আর এদিকে মোবাইল ভাইব্রেট করেই যাচ্ছে ...


TO BE CONTINUED ...

টপ ২০ বেস্ট অফ Poets of the Fall

অসাধারণ গিটার নির্ভর কিছু গান যদি মুগ্ধ চিত্তে শুনতে চান, তাহলে আমি বলবো আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন।

ফিনল্যান্ডের হেলসিনকি শহরের তিন যুবক ২০০৩ সালের দিকে 'Poets of the fall' নামে একটি ফিনিশ রক ব্যান্ড গঠন করে। এই তিনজনের একজন হচ্ছে মার্কো সারেস্তো। 'poets of the fall' এর লিড ভোকাল। যে কিনা তার মিউজিকের প্রতি ভালোবাসা থেকে নিজের জীবনের সব পুঞ্জি বিক্রি করে মিউজিকের সব ইন্সট্রুমেন্ট কিনে ব্যান্ডের অন্য সদস্যদের নিয়ে 'Poets of the fall' গঠন করে। তারা তাদের ছোট স্টুডিও বানায় দলের কির্বোডিষ্ট মার্কুস ক্যাপ্টেন করলিওনের লিভিং রুমে। আর তাদের অফিস বানায় দলের লিড গিটারিস্ট অলিস এর ভাঙ্গা গাড়িতে। ২০০৩ সালে সারেস্তোর এক বন্ধু সামি জার্ভি, যে কিনা Remedy Entertainment এ কাজ করতো, সারেস্তার হাতে একটি কবিতা ধরিয়ে দিয়ে বলেছিল গানে রূপান্তর করে দেওয়ার জন্য। সারেস্তা করেছিলও তাই। আর সেই গানটিই ব্যাবহারিত হয়েছিল Remedy Entertainment এর নিবেদিত ভিডিও গেম 'Max Payne 2: The fall of Max Payne' এ। গানটি ছিল 'Late Goodbye'। আপনারা যারা ম্যাক্স পেইন ২ খেলেছেন তারা অবশ্যই গানটি শুনে থাকবেন। গানটি ছিলো গেমের Ending song হিসেবে। ওদের এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০০৫ সালে 3dmark এর আন্ডারে রিলিজ হউয়া Lift গানটি 'Late Goodbye' থেকেও বেশী জনপ্রিয় হয়। তাদের এই পর্যন্ত ৪ টি এলভ্যাম রিলিজ হয়েছে। তাদের প্রত্যেকটি গানই অসাধারণ। এই চারটি এলভ্যাম থেকে তাদের সেরা ২০ টি গানের ডাউনলোড লিন্ক আপনি নিচে ক্রমানুসারে পাবেন। আশা করি সব শ্রেণীর দর্শকদেরই ভালো লাগবে।

Top 20 songs of 'Poets of the fall'

Carnival of Rust

Click This Link

Cradled in Love

Click This Link

Late Goodbye

66.90.118.45/ost/max-payne-2-original-soundtrack-game-rip-/iostwfmxfw/09-late-goodbye.mp3

Lift

keskiespoo.net/~salonn/mp3/01-potf-lift-it.mp3


Poets of the Fall - Locking Up The Sun


Click This Link


FIRE - POETS OF THE FALL


cool-sound.eu/MP3/ENGLISH/FIRE%20-%20POETS%20OF%20THE%20FALL.mp3


Gravity


n1.vmuzike.net/a/poets_of_the_fall/carnival_of_rust/Gravity


Poets of the Fall – Overboard


n1.vmuzike.net/a/poets_of_the_fall/signs_of_life/Overboard

Poets of the Fall – Roses


n1.vmuzike.net/a/poets_of_the_fall/carnival_of_rust/Roses


Poets of the Fall - Illusion & Dream


n1.vmuzike.net/a/poets_of_the_fall/signs_of_life/11_Illusion_&_Dream


Poets Of The Fall – Sleep

Click This Link


Poets of the Fall - All the Way \ 4U mp3


dc266.4shared.com/img/1186727124/6fbfecda/dlink__2Fdownload_2FUcVLYOn7_3Ftsid_3D20130104-104545-d9821a5/preview.mp3


Poets of the Fall - Given and Denied


n1.vmuzike.net/a/poets_of_the_fall/twilight_theater_v0/Given_and_Denied


Poets of the Fall – War


Click This Link


Poets Of The Fall - Where Do We Draw The Line


Click This Link


Dreaming Wide Awake


dc402.4shared.com/img/1622695677/99e5208d/dlink__2Fdownload_2Fk6xra2ii_3Ftsid_3D20130104-110103-583da030/preview.mp3


Someone Special


n1.vmuzike.net/a/poets_of_the_fall/signs_of_life/Someone_Special


Temple of Thought


download-6.muzsait.ru/16-03-12/poets_of_the_fall_-_temple_of_thought.mp3


Maybe Tomorrow Is a Better Day


n1.vmuzike.net/a/poets_of_the_fall/maybe_tomorrow_is_a_better_day/Maybe_Tomorrow_is_a_Better_Day


Skin


freshmp3music.ru/music/03.2012/Poets_Of_The_Fall_-_Skin_(http://www.freshmp3music.ru).mp3


The Beautiful Ones


dc354.4shared.com/img/1005533942/d429b556/dlink__2Fdownload_2Fm9ErWBvT_3Ftsid_3D20130104-110758-658a74f0/preview.mp3

দাগ...

শ্রধ্যেয় জনাব,
পত্রের শুরুতেই আমার নমষ্কার জ্ঞাপন করছি। আমি জানি না আমার পত্র আপনি 'বেয়াদবী 'হিসেবে নিচ্ছেন কিনা। তবে আমি আপনার প্রতি আমার অপরিসীম শ্রদ্ধা নিয়ে লিখতে বসেছি।
আমি জানি আমার প্রতি আপনার প্রচন্ড ক্ষোভ রয়েছে। থাকাটাই স্বাভাবিক। আমি আপনার জায়গায় থাকলে আমারও থাকতো। তবে আমি এটাও জানি, আমার থেকে বেশী ক্ষোভ আপনি আপনার মেয়ের প্রতি রয়েছে। সেই ছোট বেলা থেকে আপনি যাকে এতো বড় করেছেন তার প্রতি আপনার ভালোবাসার অধিকার যেমন আছে, তেমনি ক্ষোভ পোষণ করারও। আমি জানি আমরা যেই কাজটি আপনাদের অগোচরে ৬ টি বছর ধরে করে এসেছিলাম তা আপনার মনে একটি বড়সর দাগ কেটেছে। আপনার এই দাগের কথা বুঝতে পেরেই কিন্তু আপনার মেয়ে তা মুছার জন্য আমার সাথে সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আপনার দাগের কথা ভেবেই কিন্তু সে আমার কাছে আসার বদলে ফিরে গিয়েছে আপনাদের কাছেই। শুধুমাত্র আপনার মুখের দিকে তাকিয়ে সে চুপচাপ সব মেনে নিয়েছে। আজ যদি সে আজ আপনাদের কথা না ভেবে আমার কাছে চলে আসতো, সে কোনোদিনই হয়তোবা নিজেকে ক্ষমা করতে পারতো না। আপনি কি পারবেন, আপনাকে ক্ষমা করতে? আপনি হয়তো ভাবছেন, আপনি কেন ক্ষমা চাইবেন নিজের কাছে, আপনি কি করেছেন! আপনি হয়তোবা কখনোই ধরতে পারবেন না আপনার দাগ মুছতে যেয়ে সবার অগোচরে যে আপনার মেয়ের ভিতরে একটি বড়সড় দাগ কেটে যাচ্ছে দিন দিন। ও যতদিন বেচেঁ থাকবে ততদিনই এই দাগটি তার সাথে থাকবে। আপনি যদি কখনো ওকে ভালোভাবে লক্ষ্য করেন আপনি সেই দাগটি অস্পষ্টভাবে দেখতে পারবেন। আমি জানি ঠিক সেই মূহুর্তে আপনি সেই দাগের ব্যথা কিছুটা হলেও বুঝতে পারবেন। আপনি সেই ব্যথাটি সহ্য করতে পারবেন কিনা জানিনা ... কিন্তু এই ব্যাথাটাই আপনার মেয়েকে তার বাকিটা জীবন হাসি মুখে সহ্য করে যেতে হবে। আপনার মেয়ে প্রায়ই আমাকে বলতো আপনার কথা। আপনার সাথে তার ছোটবেলার হুন্ডায় চড়ার কথা, কিনবা ওই দিনটির কথা যেদিন আপনি ওকে মেলায় নিয়ে গিয়েছিলেন। ও যখন ওইসব কথা বলতো, ও থামতেই চাইতোনা ... ওর চোখে মুখে আমি সেই সময়ের অনূভুতিগুলো দেখতে পেতাম। ও আপনাকে ভীষণ ভালবাসে... যেই ভালবাসা থেকে ও হয়তো নিজের সবকিছুই বিলিয়ে দিতে পারে.. কিন্তু ওর একটি ভুলের জন্য তা হয়তো আপনার কখনোই চোখে পড়বে না ... চোখে পড়বে তার ভিতরের দাগটিও। কারণ আপনার দাঁড়িপাল্লায় আপনার মান সন্মান এর ওজন অনেক বেশী। যেই ওজনের চাপে একটা দাগ কিছুই না।
প্রাচীন সময়কাল থেকে আজকের বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে ৭ টি পাপের কথা বলা হয়েছে। যেসব পাপের ফল নাকি মানুষরা ইহলোকেই ভোগ করে থাকে। সেই ৭ টি পাপের একটি হচ্ছে 'Pride', যার অর্থ হচ্ছে অহংকার বা আত্মাভিমান। আর আত্মাভিমানের জন্ম হয় 'মান সন্মান ' হারানোর ভয় থেকে। আমি জানিনা আপনি কত বছর বাঁচবেন, বা আমি কত বছর বাঁচবো। তবে আমার দেখার খুব ইচ্ছা আপনি মৃত্যুর ঠিক আগ মূহুর্তে আপনার মেয়ের দিকে তাকিয়ে কি চিন্তা করেন। আমি জানি আপনার মেয়ে সেদিন মন খুলে দৃঢ় চিত্তে কাদতেঁ পারবে এই ভেবে যে, সে আপনার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আপনার প্রতিটি ইচ্ছার, প্রতিটি কথার, প্রতিটি আবেগের গুরুত্ব দিয়েছে। এই ভেবে আপনিও হয়তোবা একজন স্বার্থপরের মতো হাসিমুখে মৃত্যুবরণ করতে পারেন, অথবা একটি সূক্ষ দুঃখ নিয়ে ... আর যদি আপনার মেয়ের মৃত্যু আগে হয়, সেদিনও সে দৃঢ় চিত্তে মৃত্যুকে এই ভেবে গ্রহণ করতে পারবে যে, সে কোনোদিনও আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করেনি। আর আপনি সেদিনও খুতখুত মনে দাড়িয়ে থাকবেন তার পাশে ... চেষ্টা করবেন আপনার খুতখুতের বিষয়টা ধরার জন্য। আমি আপনার যায়গায় থাকলে চেষ্টা করতাম, তার চিতার আগুন থেকে তার দাগটাকে খুজেঁ বের করার। যেই দাগ একটি মেয়ে তার বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে আঁকড়ে ধরে রেখেছিল হাসিমুখে। কাউকেই বুঝতে দেইনি কখনো ... কাউকেই না...
.............................
তন্দ্রা তোমার মতো একটি মেয়ের সাথে আমার ৬ বছর সম্পর্ক ছিল এটি ভাবতেও আমার গর্ব হয়। তোমার প্রতিটি ইচ্ছা আমি অবশ্যই পূরণের চেষ্টা করবো। আমি কখনোই থেমে যাবো না মাঝ পথে ... কখনোই না...

শতাব্দীর সেরা কিছু কান্ট্রি সং আর সফটকোড় গানের একটি অসম্পূর্ণ তালিকা

আমি এমিনেমের ডাইহার্ড ভক্ত। তার মানে এই না যে আমি সফটকোড় গান শুনি না। অবশ্যই শুনি, এতো বেশী শুনি যে ... আমার অদম্য ইচ্ছা, মৃত্যু আগে যেন নিচের গানগুলো একবার করে হলেও শুনে যেতে পারি। গানগুলো এতোবেশী শ্রুতিমধুর যে আপনি একটানা তিন চারটে শোনার পর পরই হয়তো ঘুমিয়ে যেতে পারেন। আমি অবশ্য প্রতি রাতে এমিনেমের চিল্লাচিল্লি শুনতে শুনতেই আরামের ঘুম দেই। এই জন্যই হয়তোবা বেশির ভাগ রাতেই দুঃস্বপ্ন দেখি :p। দেখি একজনকে দা হাতে নিয়ে কুপিয়ে মারার জন্য দৌড়াচ্ছি। যাইহোক আপনাদের নিচের গানগুলো ভালো লাগবেই লাগবে। আর না লাগলে কান কাইট্টা ফালায়া দিবো...

পুনশ্চঃ গানগুলোর ডাউনলোড লিন্ক ব্রোকেন দেখালে পোস্টটির একেবারে নিচ থেকে ওয়ার্ড ফাইলটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন। ওখানে আশা করি সব লিন্ক গুলোকে সুস্থ অবস্থায় পাবেন।
.......................................................................
.......................................................................
1 Leaving on a jet plane - John Denver
link: Click This Link

2 I can't take my eyes - Damien Rice
link: Click This Link

3 Goodbye My Lover - James Blunt
Link: Click This Link

4 Fix You - Coldplay
Link: Click This Link

5 Right Here Waiting - Richard Marx
Link: Click This Link

6 You are Beautiful - James Blunt
Link: Click This Link

7 Wild Montana Skies - John Denver
Link: Click This Link

8 Truly Madly Deeply - Savage Garden
Link : Click This Link

9 We Belong Together - Maria Carey
Link : Click This Link

10 Where Do We Draw The Line - Poets of The Fall
Link : Click This Link

11 Marry Me - Train
Link: Click This Link

12 You've Got a Friend in Me - Lyle Lovette & Randy Newman
Link: Click This Link

13 Make you feel my love - Adele
Link : Click This Link

14 Vanilla Twilight - Owl City
Link: Click This Link

15 Somewhere Over the Rainbow
Link: Click This Link

16 I'll Be Missing You - Puff Daddy & Faith Evans
Link : Click This Link

17 Smooth Operator - Sade
Link: Click This Link

18 The Sign - Ace of Base
Link: Click This Link) - Ace Of Base - The Sign.mp3

19 Private Emotion - Ricky Martin
Link: Click This Link

20 No Ordinary Love - Sade
Link: Click This Link

21 The Moon & the sky - Sade
Link: Click This Link

22 Macarena - Los Del Rios
Link: Click This Link

23 Leaving on a jet plane - Chantal Kreviazuk
Link: Click This Link

24 Alaska & me
Link:

25 By Your Side - Sade
Link: Click This Link

26 Chasing Pavement - Adele
Link: Click This Link

27 Lovely Day - BILL WITHERS
Link: Click This Link

28 Candle in the wind - Elton John
Link : Click This Link

29 Un-Break My Heart - Toni Braxton
Link : Click This Link

30 End of The Road - Boyz II Men
Link : Click This Link) - Boyz II Men - End Of The Road.mp3

31 Endless Love - Diana Rose & Lionel Richie
Link : Click This Link) - Diana Ross & Lionel Richie - Endless Love.mp3

32 Hey Jude - The Beatles
Link : Click This Link) - The Beatles - Hey Jude.mp3

33 How Do I Live - Leann Rimes
Links : Click This Link

34 I Just Can't Stop Loving You - Michael Jackson
Link : Click This Link

35 I Swear - All 4 One
Link : Click This Link) - All 4 One - I Swear.mp3

36 I Will Always Love You - Whitney Houston
Link : Click This Link) - Whitney Houston - I Will Always Love You.mp3

37 If Tomorrow Never Comes - Garth Brooks
Link : http://ysbaer.li/garth.mp3

38 I'll Make Love To You (Motown) - Boyz II Men
Link : Click This Link

39 Mack The Knife - Bobby Darin
Link : Click This Link) - Bobby Darin - Mack The Knife.mp3

40 On Bended Knee - Boyz II Men
Link : Click This Link

41 Physical - Olivia Newton John
Link : Click This Link) - Olivia Newton John - Lets Get Physical.mp3

42 Sailing Away - Chris De Burgh
Link :

43 The Twest - Chubby Checker
Link : Click This Link) - Chubby Checker - The twist.mp3
.................................................................
.................................................................
সামুকে মাঝে মাঝে কড়া গালি দিতে ইচ্ছে করে। মনে মনে অবশ্য প্রচুর গালি দেই। গালি দেই কারণ লিন্ক পোস্ট করলে তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্রোকেন দেখায়। উপরের গানগুলোর বেশির ভাগ লিন্ক ব্রোকেন দেখাচ্ছে। তাই আপনারা চাইলে নিচের লিন্ক থেকে গানগুলোর ওয়ার্ড ফাইলটা ডাউনলোড করে নিতে পারেন। আল্লায় জানে নিচের লিঙ্কটাও ব্রোকেন দেখায় কিনা।
.......................................................................
.......................................................................
ডাউনলোড লিন্ক : http://db.tt/Y3ApIca2
.......................................................................
.......................................................................
অর্ধশত গান পোস্ট করার ইচ্ছে ছিলো, কিন্তু পারলুম না। বেচেঁ থাকলে পড়ে আপডেট করবো। আজকের মতো বিদায়, আবার হয়তোবা দেখা হবে যদিকিনা আমরা একই পথে থািমকি... সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন ...